এই সময় শরীর ভালো রাখতে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে খাবারদাবারের দিকে।
পেটের সমস্যা, বদহজমের মতো বিষয় এই সময়ে বেশি দেখা যায়। খাবারে অনিয়ম, অতিরিক্ত তেল-মসলা খাওয়া কিংবা পানি কম খাওয়া, সব মিলিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
রোদ থেকে ফিরে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি খাওয়া একদম ঠিক নয়। এতে শরীর হঠাৎ ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে।
তার বদলে ঘরের তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ বসে ধীরে ধীরে অল্প করে পানি খেতে হবে। চাইলে কাঁচা আমের শরবত, তরমুজের রস, বেলের শরবত বা দইয়ের ঘোল খেতে পারেন। যাদের বাইরে যেতে হয়, তারা সকালে পরোটা, ভাজা খাবার না খেয়ে হালকা কিছু খাওয়াই ভালো। যেমন দই-ওটস, দুধ-কর্নফ্লেক্স।
এই সময় অনেক প্রবীণের মধ্যেই খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা দেখা যায়।
কেউ খাবারে অনীহা দেখান, আবার কেউ অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলেন। তাই দুপুরে হালকা খাওয়া উচিত—অল্প ভাত, ডাল, সিদ্ধ বা কম তেলে রান্না করা সবজি আর মাছ বা চিকেন স্ট্যু। সঙ্গে সালাদ রাখা ভালো। কাঁচা লবণ ও বেশি চিনি একদমই পরিহার করতে হবে। খাওয়ার পর এক বাটি টক দই খেতে পারেন।
বিকেলে চপ-সিঙারা না খেয়ে হালকা কিছু খাওয়াই ভালো। মুড়ি-চিঁড়া খেতে পারেন, সাথে একটু ড্রাই ফ্রুটস—যেমন খেজুর, আখরোট, কাঠবাদাম ও চিনাবাদাম। বিকাল ৫টার মধ্যে ফল খাওয়া উচিত। শসা, তরমুজের মতো পানি-ভরা ফল এই সময় খুব উপকারী। চা বা কফি কম খাওয়া ভালো। খেলে দুধ-চিনি ছাড়া খাওয়াই শরীরের জন্য ভালো।
রাতের খাওয়া রাত ৯টার মধ্যে শেষ করতে হবে। ভাত খেলে এক কাপের বেশি নয়, না হলে দুটো রুটি আর এক বাটি সবজি খাওয়াই ভালো। রাতের বেলায় প্রোটিন কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।