চোখে ছানি পড়াকে বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন বয়স্কদের সমস্যা। তবে চুলে পাক ধরা, ত্বক শিথিল হওয়ার মতো এই সমস্যা এখন কম বয়সীদেরও মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে শিশুদের মধ্যেও ক্যাটারাক্টের সমস্যা দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছানির সমস্যা দেখা যায় ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে।বহু মানুষ দৃষ্টিহীনও হয়ে পড়েন এই সমস্যায়। ইদানীং শিশুদেরও ছানির কারণে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে চোখ। বয়সেও ছানির কারণে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে চোখ।
শিশুদের ছানির কারণ হিসবে অনেকগুলো বিষয় চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা।
ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে কয়েক মাসের শিশুরও ছানি হতে পারে। আবার পাঁচ বছরের শিশুরও হতে পারে। এখন তার চিকিৎসাও হয় যেকোনো ভালো চক্ষু হাসপাতালে।
জন্মগত ক্যাটারাক্ট
কিছু শিশু জন্ম থেকেই ক্যাটারাক্ট নিয়ে জন্মায়। এটি সাধারণত বংশগত সমস্যা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় মায়ের কোনো সংক্রমণের ফলে (যেমন রেডিওলজিক্যাল এক্সপোজার, রুবেলা ভাইরাস) এই সমস্যা হতে পারে।
ক্রোমোজোমের ত্রুটি বা জিনগত কারণে ছানি পড়তে পারে। তবে আরো কিছু কারণে চোখের লেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ছানির সমস্যা হতে পারে।
চোখে আঘাত
শিশুদের খেলাধুলা বা কোনো দুর্ঘটনার কারণে চোখে আঘাত লাগলেও সমস্যা হতে পারে। আঘাতের কারণে লেন্সের উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে চোখ ঘোলাটে হতে শুরু করে।
সিস্টিক ফাইব্রোসিস ও মেটাবলিক ডিসঅর্ডার
কিছু মেটাবলিক রোগ যেমন গ্যালাকটোসিমিয়া, নিউরোডার্মাটাইটিস ইত্যাদি শিশুদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যার কারণ হতে পারে। এই রোগগুলো চোখের লেন্সকে প্রভাবিত করে।
ওষুধের প্রভাব
শিশুদের যদি দীর্ঘ সময় ধরে কিছু ওষুধ খেতে হয়। বিশেষ করে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেতে হয়, এটি থেকেও চোখের সমস্যা হতে পারে।
চোখের সংক্রমণ
শিশুদের চোখে সংক্রমণ হলে ক্যাটারাক্টের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে যদি সংক্রমণের চিকিৎসা সময় মতো না হয়, তবে লেন্সের গুণমান খারাপ হতে পারে।
