চোখের কালো মণির সামনে কন্টাক্ট লেন্স লাগিয়ে দৃষ্টিস্বল্পতার চিকিৎসা করা হয়। চোখের অন্যান্য রোগের চিকিৎসায়ও কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহার
♦ জন্মগত চোখের ত্রুটির জন্য যারা আলোর প্রতি বেশি সংবেদনশীল, আলোতে যেতে পারেন না, তারাও বিশেষ ধরনের কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারেন।
♦ যারা চশমা পড়তে চান না, তাঁরা পাওয়ারযুক্ত কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারেন।
প্লাস, মাইনাস অ্যাসটিগমেটিক সব ধরনের কন্টাক্ট লেন্স পাওয়া যায়।
♦ যাঁদের কালো মণিতে পুরনো ঘা আছে, চোখ খোলা ও বন্ধ করার সময় ঘা বারবার কাঁচা হয়ে যায়, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যান্ডেজ কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা প্রয়োজন।
♦ চোখে চুন বা অন্যান্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল পড়লে কিংবা বিভিন্ন রকম ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য চোখে কন্টাক্ট লেন্স দেওয়া যেতে পারে।
♦ কালো মণির পুরনো দাগ লুকানোর জন্য কসমেটিক কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেন্সের ধরন
♦ হার্ড কন্টাক্ট লেন্স
♦ আরজিপি কন্টাক্ট লেন্স
♦ সফট কন্টাক্ট লেন্স
কিভাবে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করবেন
♦ প্রথমত, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করবেন না। কন্টাক্ট লেন্স নিয়মিত নির্দিষ্ট সলিউশন বা তরল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ তরল ব্যবহার করবেন না।
♦ বেশি পুরনো কন্টাক্ট লেন্স পরিবর্তন করুন।
হার্ড কন্টাক্ট লেন্স বেশিক্ষণ ব্যবহার করা উচিত না। দৈনিক তিন-চার ঘণ্টা ব্যবহার করা যেতে পারে।
♦ আরজিপি এবং সফট কন্টাক্ট লেন্স ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা ব্যবহার করা যায়।
♦ প্রতি ২৪ ঘণ্টা পর পর নির্দিষ্ট তরল বা সলিউশন দিয়ে লেন্স পরিষ্কার করা ভালো।
♦ কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা অবস্থায় চোখ লাল হলে তা খুলে ফেলতে হবে এবং দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
কন্টাক্ট লেন্সজনিত সমস্যা
♦ লেন্স পরিষ্কার করার তরলের মধ্যে যে রাসায়নিক পদার্থ থাকে, তা থেকে চোখে অ্যালার্জি হতে পারে।
♦ চোখের কালো মণিতে পানি জমে পরবর্তী সময়ে ঘা হতে পারে।
♦ কন্টাক্ট লেন্সের চাপে চোখে স্থায়ী অ্যাসটিগমেটিজম বা দৃষ্টিস্বল্পতা হতে পারে।
♦ লেন্স ঘোলা হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চশমার বিকল্প হিসেবে স্বল্প খরচে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার অনেক জনপ্রিয়। ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহারবিধি মেনে লেন্স ব্যবহার করলে কন্টাক্ট লেন্সজনিত চোখের সমস্যা এড়ানো যায়।