আমাদের সবার শরীরেই কমবেশি তিল থাকে। এমনকি ছোট্ট একটি তিল আমাদের রূপসৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, গালে কিংবা ঠোঁটে তিল। তবে আপনি জানেন কি? কোন কোন ক্ষেত্রে এ তিলই হয়ে উঠতে পারে আপনার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ।
যদিও বেশিরভাগ তিলই ক্ষতিকর নয়; এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক অংশ। তাই এগুলো থেকে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই থাকে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে তিল থেকে ক্যানসার হতে পারে। সেই ক্যানসারকে বলা হয় ‘মেলানোমা’। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জয়শ্রী দাস।
তিনি বলেন, আমাদের ত্বকে মেলানোমা হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম। ইউরোপীয় বা শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ তাদের ত্বকে মেলানিন কম থাকে। তবে এর মানে এই নয় যে, আমাদের ত্বকে মেলানোমার ঝুঁকি একদমই নেই। আছে, তবে ঝুঁকি কম।
সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা. জয়শ্রী দাস বলেন, আপনার শরীরে কোনো তিল হয়তো দীর্ঘদিন ধরে আছে। কিন্তু দেখলেন, হঠাৎ করেই সেটি বড় হয়ে উঠছে কিংবা সেই তিল নিজের রং পরিবর্তন করতে শুরু করেছে, তাহলে সতর্ক হোন। যদি কোনো তিলের মধ্যে হঠাৎ করে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কয়েকটি লক্ষণ জেনে নিন
১. আকার পরিবর্তন: যদি কোনো তিল হঠাৎ করে বড় হতে থাকে, তাহলে বুঝবেন এখানে বড় কোনো ধরনের সমস্যা আছে।
২. রঙ পরিবর্তন: যদি তিলের রঙ কালো, বাদামি কিংবা অন্য কোনো রঙে পরিবর্তিত হয়।
৩. আকার: যদি তিলের আকার অমসৃণ বা এলোমেলো হয়।
৪. রক্তপাত: যদি কোনো তিল থেকে হঠাৎ রক্তপাত শুরু হয়।
৫. ব্যথা ও চুলকানি: যদি তিলে ব্যথা বা চুলকানি হয়।
যদি কোনো তিল হঠাৎ বড় হয়, তা থেকে রক্তপাত শুরু হয়, তাহলে সাবধান থাকবেন। এ ক্ষেত্রে তিলের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এ ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে দেরি না করে দ্রুত একজন ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
আর যদি সময়মতো রোগ ধরা পড়ে, তবে মেলানোমার চিকিৎসা সম্ভব। তাই শরীরের কোনো তিলে যদি ওপরের লক্ষণগুলো দেখতে পান, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এ সমস্যা দূর করুন।