English

27 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
- Advertisement -

প্রতিদিন চিয়া ভেজানো পানি খেলেও বিপদ!

- Advertisements -

চিয়া ভেজানো পানি খেয়ে দিন শুরু করেন অনেকেই। এই বীজের গুণাগুণ সম্পর্কে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। দেহের বাড়তি মেদ ঝরানো, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, অন্ত্র বা পেটের গোলমাল বশে রাখতেও সাহায্য করে চিয়া। তাই স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে চিয়া বীজ বেশ জনপ্রিয়। বেকিং, পুডিং, স্যালাড কিংবা স্মুদিতেও এই বীজ দেওয়া হয়।

তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, উপকারী মানেই যে চিয়া যত খুশি খেয়ে নেওয়া যায় তা একেবারেই নয়। তাই খাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

১) চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং বেশ কিছু পেপটাইড। এই সমস্ত উপাদান স্বাভাবিক ভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা কমে যেতে পারে। হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলেও কিন্তু প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে।

২) বেশি চিয়া বীজ খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে। ধমনীতে ‘ক্লট’ বা ‘প্লাক’ জনিত সমস্যা থাকলে তা এক দিকে ভাল। কিন্তু অনেকেই রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান। তার সঙ্গে চিয়া বীজ খেলে রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কেটেছড়ে গেলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।

৩) ডায়াবিটিস বা রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিয়া বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই বীজে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য চিয়া বীজ ভাল। বিভিন্ন গবেষণায় তেমন প্রমাণও মিলেছে। তা সত্ত্বেও চিয়া কখন বিপজ্জনক হয়ে ওঠে জানেন? চিকিৎসকের দেওয়া ইনসুলিন হরমোনের ওষুধ এবং চিয়া বীজ একসঙ্গে খেলে শর্করার মাত্রা একেবারে কমে গিয়ে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।

৪) কিছু মানুষের চিয়া সিডে অ্যালার্জি হতে পারে। এতে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। প্রথমবার খাওয়ার সময় অল্প পরিমাণে চেষ্টা করুন।

৫) চিয়া সিডে প্রচুর ফাইবার থাকে। বেশি পরিমাণ খেলে গ্যাস, পেট ফাঁপা বা হজমের সমস্যা হতে পারে। দিনে ১–২ চা চামচ যথেষ্ট।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/c7g3
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন