English

37 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
- Advertisement -

প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে যা ঘটে

- Advertisements -

নাসিম রুমি: ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। তবে প্রতিদিন ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কি আদৌ উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই! দৈনিক একাধিক ডিম খাওয়া হয়তো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, এমন ভাবনা আছে অনেকের মধ্যেই।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে একাধিক পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। তবে অতিরিক্ত ডিম খাওয়া অবশ্যই এড়াতে হবে। স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না থাকলে একটি বা দুটি ডিম দৈনিক খাওয়া যেতেই পারে।

ডিমের অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। একটি ডিমে অ্যানার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি। আর কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম মতো। প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম। এছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম।

ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় শক্ত করতে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর। ডিমে আরও আছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। আর কুসুমে থাকা ভিটামিন ডি, হাড়ের জন্য ভাল

Advertisements

অ্যানার্জি বাড়ে

ডিম অ্যানার্জির খুব ভালো উৎস। ডিমে থাকা ভিটামিন থেকেই মূলত এই অ্যানার্জি বা শক্তি মেলে। এতে থাকা ভিটামিন বি খাদ্যকে অ্যানার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করে। তাই প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি সিদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন ক্লান্তহীন থাকবেন।

দৃষ্টিশক্তি উন্নতি করে

ডিম ভিটামিন এ-এর খুব ভালো একটি উৎস। যা দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে। তাছাড়া ডিমে থাকা কেরোটিনয়েড আর ল্যুটেন বয়স হয়ে গেলে চোখের এক বড় সমস্যা, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

চুল ভালো রাখে

Advertisements

সেদ্ধ ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। শরীরের মাংস পেশি গঠনের জন্য প্রোটিন একটি জরুরি খাদ্য উপাদান। প্রোটিন শরীরের সব কোষ গঠনে সহায়তা করে ও চুলের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান।

প্রতিদিনের খাবারের ১০-৩৫ শতাংশ পর্যন্ত অথবা ৫০ গ্রাম থেকে ১৭৫ গ্রাম প্রোটিন থাকা উচিত। সকালের নাশতায় একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমে

ডিম খাওয়ার ফলে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বেড়ে যায়, যা ভালো কোলেস্টেরল নামেও পরিচিত। যাদের এইচডিএল মাত্রা বেশি তাদের হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কম। এক সমীক্ষা অনুসারে, ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুটি ডিম খেলে এইচডিএলের মাত্রা ১০ শতাংশ বেড়ে যায়।

সকালে বা রাতে ডিম খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। এটি ঘটে ডিমে উচ্চ প্রোটিন থাকার কারণে। তাই সকালের নাশতায় অমলেট হোক বা সেদ্ধ ডিম খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে। ফলে বারবার খাওয়ার চাহিদা কমবে। এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কম।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন