আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, রেফ্রিজারেটরের ডোর বা দরজায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ রাখা যায়। কিন্তু অনেকেই এটা জানেন না, এটি পচনশীল জিনিসের জন্য একেবারেই আদর্শ স্থান নয়।
মূলত বারবার ফ্রিজের দরজা খোলা আর বন্ধ করা হলে তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে। ফলে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি ব্যাকটেরিয়াও জন্ম নিতে পারে। তাই আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করে নেওয়া যাক, কোন কোন জিনিস রেফ্রিজারেটরের দরজায় রাখা যাবে না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
কাঁচের পাত্র : আচারের বোতল, জুসের বোতল ও অন্যান্য কাঁচের সামগ্রী ফ্রিজের দরজায় রাখলে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি বারবার খোলা-বন্ধ করার ফলে তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেতে পারে।
তাই নিরাপদে ভেতরের দিকের তাকেই রাখা ভালো।
মাখন অথবা দুগ্ধজাত খাবার : মাখন, ক্রিম চিজ, ইয়োগার্ট এবং এই ধরনের সামগ্রী সব সময় ফ্রিজের সব থেকে ঠাণ্ডা অংশেই মজুত করা উচিত। বিশেষ করে পেছনের দিকেই তা রাখতে হবে। ফ্রিজের দরজায় এসব সামগ্রী রাখা হলে এর টেক্সচার, আয়ু ও স্বাদ কমে যায়।
কাঁচা মাংস ও পোলট্রি-জাত সামগ্রী : কাঁচা মাংস ও পোলট্রি-জাত সামগ্রী কখনোই ফ্রিজের দরজায় রাখা উচিত নয়।
ডিম : ডিম খুবই কোমল সামগ্রী। আর তাপমাত্রার ওঠা-নামার ফলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মেইন কম্পার্টমেন্টের স্টেবলে তাকে রাখতে হবে। এতে ডিম ভেঙে যাওয়ার এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তির আশঙ্কা অনেকাংশে কমে।
দুধ : দুধ সব সময় ফ্রিজের ভেতরের দিকের তাকে রাখা উচিত। মূলত ফ্রিজের পেছনের দিকের অংশ সব থেকে বেশি ঠাণ্ডা হয়।
ফল ও শাক-সবজি : ফল ও শাক-সবজি মজুত করার জন্য ক্রিস্পার ড্রয়ারটিই সেরা। কারণ এই ড্রয়ারটি আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। ডোর স্টোরেজের কারণে ফল আর শাক-সবজি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে এর স্বাদও নষ্ট হতে পারে।
ডেলি মিট বা কোল্ড কাটস : ফ্রিজের দরজার তাপমাত্রার ওঠানামার জেরে ডেলি মিটের গুণমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের মাংস সংরক্ষণ করার জন্য প্রধান কম্পার্টমেন্ট অথবা মিট ড্রয়ার ব্যবহার করতে হবে। তাতে এই মাংস নিরাপদ থাকবে।
চিজ : চিজও ডোর স্টোরেজে রাখা চলবে না। কারণ চিজ সংরক্ষণের জন্য বহু রেফ্রিজারেটরেই আজকাল নির্দিষ্ট ড্রয়ার অথবা বিন দেওয়া হয়। এগুলো স্থিতিশীল তাপমাত্রা বজায় রাখে। আর নষ্ট হওয়ার হাত থেকেও বাঁচায়।