বলিউড অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যুর পর আলোচনায় এসেছে অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসাপদ্ধতির বিষয়টি। যদিও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনই স্পষ্ট কিছু জানা যাচ্ছে না, তবে অনেকেই বলছেন অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসাপদ্ধতির কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও থাকতে পারে। এমনই একটি অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসাপদ্ধতি হচ্ছে বোটক্স। বোটক্স আসলে কী? এই পদ্ধতি কি নিরাপদ? জেনে নিন এমনই কিছু তথ্য।
- বটুলিনাম টক্সিন বা ব্যাকটেরিয়ার টক্সিন হচ্ছে বোটক্স। টক্সিনের ঘনত্ব কমিয়ে এমন মাত্রায় এনে একে বাজারজাত করা হয়, যাতে এর কারণে মানবদেহে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে। এই টক্সিন পাওয়া যায় যে ব্যাকটেরিয়া থেকে, তার নাম ক্লস্ট্রিডিয়াম বটুলিনাম। বোটক্স আসলে একটি ব্র্যান্ড নেম। আরও কিছু কোম্পানিও এই পণ্য তৈরি করে এবং ভিন্ন নামে বাজারজাত করলেও বোটক্স’ নামটা এতটাই জনপ্রিয় যে ‘বটুলিনাম টক্সিন’ বোঝাতে এই নামই সবার আগে সামনে চলে আসে।
- বোটক্স ইনজেকশন দেওয়া হলে নির্দিষ্ট স্নায়ুর কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হয়। ওই স্নায়ু মুখের যে পেশিকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেটি তখন আর সংকুচিত হতে পারে না। ফলে কুঞ্চনরেখা বা বলিরেখাও দেখা দেয় না।
- বোটক্স ইনজেকশন দিলে মুখের সব রেখা মুছে যায় না। সাধারণত কপাল, দুই ভ্রুর মাঝের অংশ এবং চোখের আশপাশের পেশির জন্য এই ইনজেকশন দেওয়া হয়। বয়সের ছাপ হিসেবে মুখে যেসব বলিরেখা সব সময়ই দেখা যায়, সেসব বোটক্স ইনজেকশন দিয়ে দূর করা যায় না।
- দক্ষ হাতে যদি ইনজেকশন নিলে বোটক্স মোটামুটি নিরাপদ। তবে অ্যালার্জিজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
- বোটক্সের কার্যকারিতা দৃষ্টিগোচর হতে সপ্তাহ দুয়েক সময় লেগে যেতে পারে। তবে এই কার্যকারিতা কেবল মাস তিনেকের জন্য।
তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি ও রিডার্স ডাইজেস্ট
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/lajt