বিশ্বজুড়ে দ্রুত হারে বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এই রোগ ধরা পড়ার পর বেশিরভাগ মানুষই খাদ্যতালিকায় বড় পরিবর্তন আনেন, বিশেষ করে চাল বা ভাত পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন। তবে এর একটি বিকল্প হলো ‘ডায়াবেটিক রাইস’।
এটি সাধারণত ব্রাউন রাইস বা ব্ল্যাক রাইসের মতো উচ্চ ফাইবারযুক্ত চাল, যা রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয় না। তবে ‘ডায়াবেটিক রাইস’ কি সত্যিই উপকারী? পুষ্টিবিদদের মতে, ব্রাউন রাইসের তুলনায় সাদা ভাতে ফাইবার কম, তাই রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু ব্রাউন রাইসে ফাইটিক অ্যাসিড বা অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট থাকে, যা দেহে পুষ্টি শোষণে বাধা দিতে পারে। অর্থাৎ, ব্রাউন রাইস একমাত্র সমাধান, এমনটা ভাবা ঠিক নয়।
এছাড়া ব্রাউন রাইস দামেও তুলনামূলক বেশি, যা অনেকের সাধ্যের বাইরে। তাহলে কি ডায়াবেটিসে ভাত পুরো ছেড়ে দিতে হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাতের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং সঙ্গে ডাল, শাকসব্জি, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত ভাজা বা চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। সময়মতো খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা—এ বিষয়গুলো মেনে চললেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।