ভাজাপোড়া খেতে কার না ভালো লাগে? বিশেষ করে পাকোড়া, পুরি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাইয়ের মতো ভাজা খাবার সবাই পছন্দ করে। যদিও এই খাবারগুলির খেতে ভালো লাগে কিন্তু এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এসব খাবারে কার্বোহাইড্রেট এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বির পরিমাণ বেশি হওয়ায়,নিয়মিত খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। এ কারণে ভাজাভাজির জন্য কী ধরনের তেল ব্যবহার করছেন সে বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত।
অনেকেই মনে করেন,ভাজার জন্য যেকোন তেল ব্যবহার করা উপকারী। ভারতীয় গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি এবং পুষ্টি বিশেষজ্ঞ রুজুতা দিওয়েকারের মতে,সঠিক তেল ব্যবহার করে আপনি খাবার আরও নিরাপদে ভাজতে পারেন। এ বিশেষজ্ঞরা ভাজাভাজির জন্য কয়েকটি তেলের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন-
ঘি: ঘি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে। ভাজাভাজির জন্য পরিমিত পরিমাণে ঘি ব্যবহার করতে পারেন।
পরিশোধিত নারকেল তেল: ভাজাভাজির জন্য এটি ভালো বিকল্প। নারকেল তেলে লরিক অ্যাসিডের মতো মাঝারি-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে, যার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং প্রদাহ-বিরোধী উপকারিতা রয়েছে।
পরিশোধিত অলিভ অয়েল: এই তেল উচ্চ তাপে রান্নার জন্য আদর্শ। এটি মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ এবং হৃদপিণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর।
অ্যাভোকাডো তেল: খুব উচ্চ তাপে খাবার রান্না করার জন্য এই তেল ভালো। অ্যাভোকাডো তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ।
ডোবা তেলে ভাজার জন্য অন্যান্য তেল: রাইস ব্রান অয়েল এবং চিনাবাদাম তেলের মতো তেলও ভাজাভাজির জন্য ভালো। এগুলি বাজেট-বান্ধব এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।