উচ্চ প্রোটিনযুক্ত মাছ ভিটামিন ডি-এর একটি চমৎকার উৎস। এগুলো হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এই মাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রদাহ কমিয়ে হার্টের রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মাছগুলোতে সেলেনিয়াম থাকে, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। সেই সঙ্গে কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং থাইরয়েডের কার্যকারিতা সমর্থন করে।
তবে, প্রোটিনের পরিমাণ মাছের প্রজাতি, বাসস্থান ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সুষম পুষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের মাছ খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কোন মাছে কত প্রোটিন থাকে, জেনে নিন।
প্রতি ১০০ গ্রাম রুই মাছে ১৬.৪ গ্রাম, শোল মাছে ১৬.২ গ্রাম, মাগুর মাছে ১৮.০ গ্রাম, টাকি মাছে ১৭.০ গ্রাম, পুটি মাছে ১৫.০ গ্রাম, টেংরা মাছে ১৬.৫ গ্রাম, টোনা মাছে ৪২.০ গ্রাম, স্যামন মাছে ২০.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
উপরের তথ্য থেকে দেখা যায়, সামুদ্রিক মাছ যেমন টোনা ও স্যামন প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৪২ গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করে, যা উচ্চ প্রোটিনের উৎস হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে, মিষ্টি পানির মাছ, যেমন রুই, শোল, মাগুর, টাকি, পুঁটি ও টেংরা মাছে প্রোটিনের পরিমাণ সামুদ্রিক মাছের তুলনায় কম হলেও, এগুলো আমাদের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়ক।