ঢাকা থাকার অজুহাতে পিঠের ত্বকের যত্নের কথা আমরা বেশিরভাগ মানুষই ভুলে যায়। যত্নের অভাবে পিঠের ত্বকে দেখা দেয় নানা সমস্যা।
দীর্ঘদিন ত্বকের কোনো অংশের যত্ন না নিলে সেখানকার লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়। লোমকূপ বন্ধ থাকার ফলে দেখা যায় ব্ল্যাক হেডস। পিঠের বেলায়ও একই । নিয়মিত যত্নের অভাবে পিঠে দাগ পড়ার আশঙ্কাও থাকে।
তেল ম্যাসাজ
প্রতিদিনের গোসলের সময় পিঠের ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করুন। গোসলের আগে পিঠে একটু অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এমন করলে কালো দাগ পড়বে না।
চন্দন পেস্ট
পিঠের ত্বকের রোদের পোড়া ভাব বা যেকোনো কালো দাগ দূর করতে চন্দন বাটা ১ টেবিল চামচ, টমেটোর রস ১ চা চামচ, শসার রস ১ চা চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে পিঠে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর গোসল করে ময়েশ্চারাইজড লোশন বা ক্রিম লাগিয়ে নিন।
লেবু ও গ্লিসারিন
ত্বক মসৃণ রাখতে একটা লেবুর রসের মধ্যে দুধ ও পানি মিশিয়ে ১ চা চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে চুলায় ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর পিঠে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। পিঠের ত্বক মসৃণ হবে।
দই ও বেসনের মিশ্রণ
দই আধা কাপ, বেসন ২ টেবিল চামচ একত্রে মিশিয়ে গোসলের দুই ঘণ্টা আগে পিঠে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে পিঠের ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে।
ডিম, দুধ ও সোডার মিশ্রণ
ডিমের সাদা অংশ ১টি, দই ২ টেবিল চামচ, মুলতানি মাটি ২ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ ও বেকিং সোডা সামান্য একত্রে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ভালো করে পিঠে লাগিয়ে রেখে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। পিঠের ত্বক টান টান হবে।
অ্যালোভেরা ব্যবহার
অ্যালোভেরা পাতার মাঝখানে ছুরি দিয়ে কেটে জেলটা বের করে নিয়ে পিঠের ত্বকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর গোসল করুন। ত্বকে জেল্লা ভাব আসবে।
কমলার খোসা ও তরল দুধ
পিঠের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে কমলার শুকনো খোসা বেটে এর সঙ্গে তরল দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
লোশন ব্যবহার
এই শীতে পিঠের ত্বক ভালো রাখতে ভালো ব্রান্ডের লোশন নিয়মিত ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর সময় কিংবা গোসলের পর লোশন ব্যবহার ত্বকের জন্য ভালো। এতে ত্বক আর্দ্র থাকে।
গোসলের সময়
গোসলের সময় পিঠের ত্বকের ময়লা দূর করতে লম্বাজাতীয় ব্রাশ ব্যবহার করুন। লম্বা হাতলের ব্রাশ ভালো স্ক্রাবারারের কাজ করে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন