ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই বাতের ব্যথা ভোগায়। ক্লান্তি ভাব, আলস্য কয়েক গুণ বেড়ে যায়। যারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করেন, তাদের পায়ের পাতায় ও গোড়ালিতে ব্যথাও বাড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে মাটিতে পা রাখা মাত্রই তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় গোড়ালিতে। হাঁটতে গেলে পায়ে টান ধরে যায়। সিঁড়ি ভাঙা তো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে ব্যথা কমাতে ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ খেতেও নিষেধ করেন চিকিৎসকেরা। তা হলে উপায়?তাই বাতের ব্যথা ঠেকাতেও এমন কিছু খেতে হবে যাতে শরীরে ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ হয়। তার জন্য স্যুপ খেতে পারেন। যা শুধু পুষ্টিকরই নয়, তার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এমনকি, ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্যও সমান কার্যকরী।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যে স্যুপ
মাশরুমের ওপর লেবুর রস ছড়িয়ে নিন। ভালো করে কুচিয়ে নিন। ননস্টিক প্যানে মাখন গলিয়ে পেঁয়াজ কুচি নেড়ে নিন। এর মধ্যে মাশরুম, থাইম, তেজপাতা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না পানি শুকিয়ে আসছে। এর মধ্যে লবণ, গোলমরিচ, ক্রিম দিয়ে ফোটাতে থাকুন। আঁচ কমিয়ে ২০ মিনিট ঢিমে আঁচে রাখুন। কর্নস্টার্চ গোলা স্যুপে দিয়ে ১০ মিনিট ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। বাটিতে গরম স্যুপ ঢেলে ওপরে পার্সলে কুচি ছড়িয়ে দিন।
এক আঁটি পালং শাক গরম পানিতে ভাপিয়ে নিয়ে মিক্সিতে পেস্ট করুন। কড়াই কম আঁচে বসিয়ে মাখন দিন। ময়দা দিয়ে নেড়ে দুধ ঢেলে দিন। ভালোমতো নাড়তে থাকুন। এর সঙ্গে পালং বাটা ও লবণ মেশান। একটু চেখে নিন। এরপর নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। চাইলে স্যুপ পরিবেশনের সময় ওপরে একটি করে পোচ করা ডিম দিতে পারেন অথবা ক্রিম বা দই এক চামচ ওপরে ঢেলে দিন।
বিউলির ডালের স্যুপ
এক কাপের মতো বিউলির ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে পারলে ভালো হয়। এবার ডাল প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। স্যুপ তৈরির জন্য ছোট ছোট করে গাজর, বিন কেটে নিন। চাইলে পছন্দের সবজিও দিতে পারেন। এবার প্যানে অল্প ঘি গরম করে তাতে জিরা, হিং, আদা ও রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ও লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। সুন্দর গন্ধ এলে সেটি সেদ্ধ ডালের ওপর দিয়ে দিন। এ বার ডাল ফুটিয়ে নিন মিনিট পাঁচেক। রান্না হলে ওপর থেকে ধনেপাতা ও সামান্য মাখন ছড়িয়ে দিন।
