হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্ত ও অক্সিজেন সঠিকভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছাতে পারে না। এর ফলে অনেক সময় হঠাৎ করে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যা বারবার হলে আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত।
অদ্ভুত কিছু খাওয়ার ইচ্ছা
আয়রনের ঘাটতির আরেকটি লক্ষণ হলো অদ্ভুত কিছু খাওয়ার প্রবণতা।
যেমন: মাটি, বরফ, বা চায়ের মাটির ভাঁড় ইত্যাদি খেতে ইচ্ছে হওয়া। এগুলো কোনোভাবেই খাবারের তালিকায় পড়ে না, তবুও শরীর এমন আকর্ষণ অনুভব করে। এই ধরনের আচরণ শরীরে আয়রনের ঘাটতির একটি বড় ইঙ্গিত।
সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া
আয়রনের অভাবে হালকা কাজ করলেও দ্রুত ক্লান্তি চলে আসে।
অল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট বা হাঁপ ধরার মতো সমস্যা হতে পারে। যদি এই উপসর্গ বারবার দেখা যায়, তাহলে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মাথা ব্যথা
যেহেতু আয়রনের অভাবে অক্সিজেনের প্রবাহ কমে যায়, তার প্রভাব মাথায়ও পড়ে। ফলে আচমকা তীব্র মাথা যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে। এটি নিয়মিত হলে আয়রনের মাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
আয়রনের ঘাটতি মানেই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়া, যা অ্যানিমিয়ার লক্ষণ। এর ফলে ত্বক রক্তশূন্য ও মলিন দেখাতে শুরু করে। বিশেষ করে যারা ফর্সা, তাদের ক্ষেত্রে এই ফ্যাকাশেভাব আরও স্পষ্ট হয়।
নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া
আয়রনের অভাবে নখ দুর্বল হয়ে পড়ে, সহজেই ভেঙে যায়, বাড়ে না ঠিকভাবে। অনেকেই ভাবেন এটি ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্য হয়, কিন্তু আয়রনের ঘাটতিও এর একটি বড় কারণ।
এই লক্ষণগুলোর মধ্যে যদি একাধিক লক্ষণ আপনার মধ্যে দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভালো। শরীরকে সুস্থ রাখতে আয়রনের প্রয়োজনীয়তা অবহেলা করার মতো নয়।