খাবারের প্লেটে রাখুন প্রোটিন ও বায়োটিন
চুলের গোঁড়া মজবুত রাখতে প্রোটিন ও বায়োটিন অপরিহার্য। ডিম, মাছ (বিশেষ করে কাতলা, পমফ্রেট, ইলিশ), বাদাম ও নানা বীজজাত খাবারে থাকে এই পুষ্টি উপাদানগুলো। এছাড়াও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে করে আরও প্রাণবন্ত।
রোজমেরি অয়েলের ব্যবহার
রোজমেরি তেল মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং খুশকি ও চুলকানির মতো সমস্যা কমায়। নারকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রোজমেরি অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া কমতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকুন।
খাদ্যতালিকায় রাখুন আয়রন ও জিংক
নতুন চুল গজাতে ও কোলাজেন তৈরি করতে আয়রন দরকার।মুরগি, ডাল, ছোলা, তিসি, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, আলু ও মাশরুমে পাওয়া যায় প্রচুর আয়রন ও জিংক—যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
কেশসজ্জায় সাবধানতা জরুরি
চুল টেনে বাঁধা, অতিরিক্ত স্টাইলিং বা রঙ করা চুলের ক্ষতি করে। যদি চুলে রং করেন, তবে সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এতে রং দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং চুলের ময়লাও পরিষ্কার থাকে।
৭-৯ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন
ঘুমের ঘাটতি হরমোনে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে, যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চুল দুর্বল হয়ে যায়। চুল ভালো রাখতে মোবাইল স্ক্রল কমিয়ে সঠিক সময়ে ঘুমানো অভ্যাস করুন।
চুলের যত্ন শুধু বাইরের পরিচর্যায় নয়, ভিতরের যত্নেও গড়ে ওঠে। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ঘুম ও প্রাকৃতিক যত্নে ফিরতে পারে আপনার চুলের পুরনো স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য।