স্বাস্থ্যকর নাশতা কেন দরকার
- আসলে দীর্ঘ সময় না খেলে ব্লাড সুগার লেভেল নেমে যায়।
- জাঙ্ক ফুড বা ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে শরীরকে অতিরিক্ত ফ্যাট থেকে বাঁচায়।
- শরীরের এনার্জি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সেইসঙ্গে মনোযোগ বাড়ায়। - ছোট ছোট মিলে খাবার ভাগ করে নিলে শরীরের মেটাবলিজম সচল রাখে।
ব্যস্ত দিনের কিছু স্মার্ট স্ন্যাকিং টিপস
ফ্রুট বোল : যেকোনো মৌসুমি ফল কেটে নিন। তাতে অল্প পরিমাণে বাদাম ছড়িয়ে নিন।
এটি খেলে মিলবে ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।গ্রিক ইয়োগার্ট, মধু ও বাদাম : প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও হেলদি ফ্যাট একসঙ্গে পেতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম মেশাতে পারেন।
রোস্টেড ছোলা বা মাখানা : এটি একদিকে যেমন লো-ক্যালরি, অপরদিকে হাই-প্রোটিন স্ন্যাক।
হোলগ্রেন ক্র্যাকারস উইথ হিউমাস : এটি স্বাস্থ্যকর কার্বস আর প্রোটিনের পারফেক্ট কম্বিনেশন।
স্প্রাউটস স্যালাড : হালকা মসলা ও লেবুর রস দিয়ে এটি বানালে একদিকে পেট ভরবে, অন্যদিকে হজমও ভালো হবে।
পিনাট বাটার টোস্ট : এটি একখানা এনার্জি বুস্টিং স্ন্যাক। যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডেও ভরপুর।
স্মুদি : কলা, পালং শাক, দুধ ও আমন্ড মিল্ক দিয়ে বানানো স্মুদি ব্যস্ত দিনে যেকোনো ব্যক্তির কাছে ইনস্ট্যান্ট রিফ্রেশমেন্ট।
ড্রাই ফ্রুটস মিক্স : আখরোট, কাজু, কিশমিশ, খেজুর এগুলো একসঙ্গে খেলে সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি ও পুষ্টি মিলবে।
সবজি স্টিকস উইথ ডিপ : গাজর, শসা, বেল পেপার একসঙ্গে কেটে নিতে হবে। তারপর সেটার সঙ্গে দই বা হুমাস ডিপ নিন।
স্মার্ট স্ন্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে কী কী মাথায় রাখবেন
- স্ন্যাক আগে থেকে প্ল্যান করে রাখতে হবে।
- অল্প অল্প পরিমাণে খেকে হবে। বেশি হলে মূল খাবারের খিদে নষ্ট হয়ে যাবে।
- অফিসের ব্যাগে বা টেবিলে হেলদি স্ন্যাকের অপশন রাখুন।
স্ন্যাকিং মানেই অস্বাস্থ্যকর জাঙ্ক নয়, বরং এটি হতে পারে পুষ্টিকর ও এনার্জি সমৃদ্ধ। ব্যস্ত দিনের মাঝেও সঠিক বাছাই করা স্ন্যাক্স শরীরকে একদিকে যেমন ফিট রাখে, তেমনি মনকেও ফ্রেশ রাখে। একটু পরিকল্পনা আর সচেতনতা আপনাকে এনে দিতে পারবে একটা হেলদি লাইফস্টাইল।