উজ্জ্বল ও দাগছোপহীন ত্বক পেতে চায় সবাই। আর সে জন্য অনেক নারী প্রায়ই ব্যয়বহুল চিকিৎসার দিকে ঝুঁকে পড়েন। কখনো আবার নামিদামি পণ্য ব্যবহার করেন। তবে সেসব পণ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদানের কারণে এগুলো কখনো কখনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
তবে অনেক নারীই আজকাল ঘরোয়া প্রতিকারের দিকে বেশি করে ঝুঁকছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো হলুদ ও বেসনের ব্যবহার। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দুটো উপাদানই বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে হলুদের ফেসপ্যাক নাকি বেসনের ফেসপ্যাক, কোনটি ত্বকের জন্য বেশি ভালো?
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য হলুদ পরিচিত।
এটি ত্বকের রং উন্নত করতে কার্যকর। এদিকে, বেসন একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি মুখের ময়লা দূর করে এবং ত্বককে একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দিতে সাহায্য করে।
দাগ দূর করতে হলুদের ফেসপ্যাক
হলুদের মধ্যে বার্ধক্যবিরোধী ও প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো প্রদাহ ও দাগ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। এটি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দেয়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে এটি ত্বককে ফ্রি-র্যাডিক্যাল থেকেও রক্ষা করে।
বেসন ত্বকের রং উন্নত করে
অনেক নারী বেসনের ফেসপ্যাক ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেন। এটি একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। মুখের ময়লা দূর করে এবং মুখকে উজ্জ্বলও করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর বেসন। অতিরিক্ত তেল শোষণ করে একটা তরতাজা চেহারা দেয় এটি।
এর পাশাপাশি আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি ত্বকের ছিদ্রের গভীরে প্রবেশ করে ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করে, ব্রণ প্রতিরোধ করে। যার ফলে মুখে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে।
বেসন নাকি হলুদ, কোন ফেসপ্যাক ভালো
বেসন ও হলুদ উভয়ই মুখ উজ্জ্বল করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে, তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতার ক্ষেত্রে বেসন একটি ভালো বিকল্প। বেসন মুখকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে, তাৎক্ষণিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং তরতাজা চেহারা দেয়।
তবে, হলুদও একটি দুর্দান্ত বিকল্প। হলুদের ফেসপ্যাক লাগালে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হবে, তবে এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়।