এখনো সারাবিশ্বে প্রতিদিন অনেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচতে সবচেয়ে জরুরী যে বিষয়টি তা হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। আর এজন্য ঘরে বসে অফিস করার বিষয়টি এ বছর সবার কাছেই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। অনেকেই প্রায় এক বছর ধরে বাড়িতে বসে কাজ করছেন। অফিসের অনেক অংশ আবার অনলাইনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঘরে বসে অফিস করার ফলে প্রতিদিনের কাজকর্মেও এসেছে পরিবর্তন। আর সবকিছু সময়মত না করাতে শরীরের উপরেও মারাত্বক প্রভাব পড়ছে । এর পিছনে যে কারণগুলো আছে সবার আগে উচিত সেগুলো খুঁজে বের করা।
খাওয়ার জন্য নিদির্ষ্ট সময় না থাকা:
সকালে যখন অফিস যেতে হত তখন আপনি ঘুম থেকে ওঠার পরেই নাস্তা করে নিতেন নতুবা অফিস যেয়ে হয়ত ক্যান্টিনে বসে হয়ত স্যান্ডউইচ খেতেন। আবার দেখা যেত ব্যাগে করে কিছু ফল আপনি নিজের জন্য নিয়ে নিতেন। তবে বাসায় বসে কাজ করাতে দেখা যাচ্ছে খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় আপনি রাখছেন না। এতে করে আপনার শরীরের উপর মারাত্বক প্রভাব পড়ছে। কাজ করার শক্তি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া:
একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন ছয় থেকে আটঘন্টা ঘুম জরুরী। করোনার আগে অফিস চলাকালীন দেখা যেতো একটি নির্দিষ্ট সময়ে মানুষ বিছানায় যেত। কিন্তু বাসা থেকে অফিস করায় রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে গড়িমসি। এতে করে একদিকে যেমন ঠিকমত ঘুম হচ্ছে না অন্যদিকে ঘুম না হওয়ার কারণে শরীরও খারাপ হচ্ছে এবং মন মেজাজ খিটখিটে হচ্ছে।
ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের মধ্যে পার্থক্য না থাকা:
আমরা সকলেই ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করি। করোনাভাইরাসের সময় থেকে আমাদের বাড়ি আমাদের অফিসে পরিণত হয়েছে। আমরা সোফায় বসে অফিসের কাজ করছি, আবার টেবিলে বসে ভিডিও কলে মিটিং সারছি।
আপাতদৃষ্টিতে দেখলে এইভাবে কাজ করা স্বাচ্ছন্দ্যজনক মনে হলেও আমাদের শোবার ঘরকে আমার কাজের ঘরে পরিণত করছি। এতে করে আমাদের ব্যক্তিগত জীবন ভোগ করার জন্য খুব কম সময় হাতে থাকছে। অফিসের সাথে নিজের জীবনকে এক করে ফেলছি। দিন শেষে মানসিক শান্তি ও বিশ্রামের বিষয়টি হারিয়ে যাচ্ছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন