গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় সব ধরনের ফল ও সবজি খাওয়া নিরাপদ নয়। খাবারও খেতে হয় খুব বুঝে শুনে। প্রশ্ন হলো- গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া কি নিরাপদ?
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া যাবে। এবং এটি এ সময়ের জন্য নিরাপদ সবজি। কাঁচা কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, একইসঙ্গে স্নায়ু ও পেশী সঞ্চালনে সহায়তা করে। এছাড়া গর্ভবতী নারীর আয়রনের চাহিদা পূরণেও সহায়তা করে কাঁচা কলা।
কাঁচা কলার অন্যান্য উপকারিতা
গর্ভাবস্থা ও অন্যান্য সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কাঁচা কলা। কারণ কাঁচা কলা আঁশযুক্ত; আর তাই এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও সাহায্য করে কাঁচা কলা।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতেও কাঁচা কলার জুড়ি নেই। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। আর পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য পটাসিয়াম গ্রহণ নিরাপদ নয়। তাই এ দুই রোগে আক্রান্ত রোগীরা কাঁচা কলা কম পরিমাণে খান।
কাঁচা কলা আঁশযুক্ত সবজি। তাই এটি খুব সহজে হজম হয়। এ সবজি পেটের ভেতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে। কাঁচা কলায় থাকা বিভিন্ন উপকারী এনজাইম, ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা, কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা এড়িয়ে চলবেন।