ওজন কমাতে গেলে আমরা সাধারণত কোন খাবার ও খাব না, সেই তালিকাটাই আগে ঠিক করি। যেমন মিষ্টি, তেলেভাজা বা অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বাদ দিতে চাই। কিন্তু তার বদলে কী খাব, সেটাও সমান গুরুত্বের। কারণ শুধুমাত্র খাবার কমিয়ে ওজন ঝরালে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
ফলাফল: দুর্বলতা, শীর্ণ চেহারা আর ক্লান্তিভাব। তাই ওজন কমানোর পথে প্রথম শর্তই হলো সুষম খাদ্য পরিকল্পনা।
চলুন, জেনে নেই কাবলি ছোলার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:
কাবলি ছোলায় রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ফাইবার, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের ঝুঁকি কমে যায়।
ফাইবার সমৃদ্ধ এ ছোলা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। একই সঙ্গে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
এ ছোলায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন কে, যা হাড়ের গঠন ও দৃঢ়তা বজায় রাখতে কার্যকর।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য
কাবলি ছোলার ফাইবার ও পুষ্টিগুণ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
স্নায়ুতন্ত্র ও পেশির গঠনে সহায়ক
এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি ৯ (ফোলেট) মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ও স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি পেশির গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যারা গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যায় ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে কাবলি ছোলা খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। এ ছাড়া কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগ থাকলে, খাদ্য তালিকায় বড় পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
