যারা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের যত্ন নিতে চান, তারা নিয়মিত করলা খেতে পারেন। করলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো বার্ধক্যের লক্ষণ হ্রাস করে। এছাড়া করলার খাদ্য উপাদান শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় করলায়। ফলে নিয়মিত সবজিটি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
করলা ত্বকের যেসব উপকার করে
করলা ত্বক উজ্জ্বল করে
করলা ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ ও ধুলো-ময়লা দূর করে
করলা ব্রণের দাগ দূর করে
এই সবজি ত্বকে বয়সের ছাপ যেমন- ফাইন লাইনস এবং রিঙ্কেলস প্রতিরোধ করে
করলা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে
করলায় থাকা খাদ্য উপাদান সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায়
করলা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। ত্বকের যত্ন নেওয়া ছাড়াও এই সবজি স্বাস্থ্যেরও যত্ন নেয়। এই খাবার খেলে নানা রকম স্বাস্থ্য উপকারিতাও পাওয়া যায়।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
ইনসুলিনের ভারসাম্য রক্ষায় এবং প্রাকৃতিকভাবে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে করলা বেশ ভালো। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সবজির জুড়ি নেই।
পুষ্টিগুণে ভরপুর
করলাতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম, ফোলেট এবং আয়রনসহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ। যার ফলে প্রতিদিন সবজিটি খেলে দূরে থাকা যায় অনেক রোগ থেকে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অন্যতম উৎস
করলাতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল। শক্তিশালী এই দুই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এই উপাদান দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এছাড়া উন্নত বিপাকীয় স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে এরা।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে
করলায় থাকা উচ্চমানের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজমে সহায়তা করে।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে করলা। ফলে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
হার্ট ভালো রাখে
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, করলা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
করলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলো নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
ডিটক্সিফিকেশন
করলাতে রয়েছে ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
করলায় থাকা ভিটামিন এবং খনিজ, বিশেষ করে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা উন্নত করতে পারে।
চোখ ভালো রাখে
করলায় থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করতে পারে।