দক্ষিণ এশিয়ায় ‘মশলার রানি’ নামে পরিচিত এলাচ শুধু রান্নায় স্বাদ ও সুবাস বাড়ায় না, বরং রয়েছে বহু আয়ুর্বেদিক উপকারিতাও। জাফরান ও ভ্যানিলার পর এটিই বিশ্বের তৃতীয় মূল্যবান মশলা হিসেবে বিবেচিত। চলুন, জেনে নিই কীভাবে এই ছোট্ট মশলা আমাদের শরীর ও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
হজমশক্তি উন্নত করে
এলাচ পেটের গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও বদহজমের মতো সমস্যা কমাতে দারুণ কার্যকর।এটি পাচনতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে এবং খাদ্যনালীর পেশিগুলিকে শান্ত করে, ফলে খাবার দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে হজম হয়।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
মুখের দুর্গন্ধ কমাতে বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে এলাচ। এতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ রোধ করে। দাঁতের ক্ষয় ও পাইরিয়াসহ নানা সমস্যায় এলাচ কার্যকর প্রতিরোধক।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
এলাচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ডাইইউরেটিক উপাদান রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে ও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস পায়।
মানসিক চাপ কমায়, ঘুম আনে
এলাচের মৃদু মিষ্টি সুবাস স্নায়ুকে শান্ত করে, মানসিক চাপ কমায়।রাতে ঘুমানোর আগে এলাচ গ্রহণ করলে অনিদ্রার সমস্যা অনেকটাই হ্রাস পায়। তাই প্রাকৃতিক ঘুমের সহায়ক হিসেবেও এটি কার্যকর।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এলাচ যুক্ত করলে তা শুধু স্বাদ বাড়াবে না, বরং শরীরের ভেতরকার ভারসাম্যও বজায় রাখবে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ গ্রহণ না করাই ভালো, বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জির প্রবণতা আছে।