উপাদান যাচাই করুন
লিপস্টিক কেনার আগে তার উপাদানগুলো ভালোভাবে দেখে নিন।
যদি কোনো উপাদান আপনার অ্যালার্জির কারণ হয়, তা এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
লিপবাম ব্যবহার করুন
লিপস্টিকের আগে লিপবাম বা লিপ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ঠোঁটকে নরম ও আর্দ্র রাখে। বিশেষ করে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করার আগে লিপবাম ব্যবহার করলে ঠোঁটের ত্বক রক্ষা পায় এবং লিপস্টিক সুন্দরভাবে বসে।
রাতের পরিচর্যা
রাতে ঘুমানোর আগে লিপস্টিক সম্পূর্ণভাবে তুলে ফেলুন। এর জন্য মেকআপ রিমুভার বা নারিকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। লিপস্টিক উঠানোর পর ঠোঁট পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
ঠোঁটের যত্নে কয়েকটি নিয়ম:
এক্সফোলিয়েশন: ঠোঁটের প্রাকৃতিক রং ধরে রাখতে এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। আঙুলের ডগা হালকা পানিতে ভিজিয়ে নিন।
এরপর ভেজা আঙুলে চিনি নিয়ে আলতোভাবে ঠোঁটে ঘষুন। পরে ঠোঁট ধুয়ে লিপবাম লাগান। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
আর্দ্রতা বজায় রাখা: রাতে ঘুমানোর আগে লিপবাম ব্যবহার করলে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং শুষ্কতা কমে।
রোদ ও পরিবেশ থেকে সুরক্ষা: রোদে পুড়ে বা দূষিত পরিবেশে বের হওয়ার কারণে ঠোঁটে কালচে দাগ পড়তে পারে। তাই বাইরে যাওয়ার আগে এসপিএফ-১৫ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন। এছাড়া অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করেও ঠোঁটকে ধুলো-ময়লা থেকে রক্ষা করা যায়।
পুষ্টি ও পানীয়: ঠোঁট শুষ্ক হলে প্রচুর পানি পান করুন। এছাড়া ভিটামিন সি যুক্ত ফলের রস খাওয়া ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে ঠোঁটের প্রাকৃতিক গোলাপি রং ফিরে আসে, লিপস্টিক ব্যবহার করলেও কালচে দাগ কম থাকে এবং ঠোঁটের ত্বকও সুস্থ থাকে।