নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির মোড়কে খুনি হাসিনার অনুসারীরা আবার একত্রিত হবে। জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে এবং তাদের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সংসদে বসানো হবে। প্রয়োজনে তাদের এমনও হতে পারে যে, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে পলাতক হাসিনার অনুসারীরা জাতীয় পার্টির মোড়কে আবার সরকার গঠন করবে।
তিনি আরো বলেন, জিএম কাদেরকে নিয়ে জাতীয় পার্টি নাটক করছে। জিএম কাদেরের ভারতপ্রীতি, ভারতের দালালি এরশাদের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিল। ভারতের বিষয়ে জিএম কাদেরের বক্তব্য নিয়ে মানুষের মনে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এ জন্যই কাউন্সিলকে নিয়ে একটা নাটক করা হয়েছে।
তারা জিএম কাদেরকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করছে।
এই অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, গুম-খুন-অত্যাচার ও ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানোর পরও শেষদিন পর্যন্ত জাতীয় পার্টি হাসিনাকে সমর্থন করে গেছে। তারা হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছে। এখন তারা চাচ্ছে ভারতের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় নতুন রূপে নতুনভাবে আবির্ভূত হয়ে পলাতক হাসিনার অনুসারীদের জাতীয় পার্টিতে ঠাঁই দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আরেকটি অধ্যায়ের সূচনা করতে।
এই সাংবাদিক বলেন, সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করলেও কোনো এক অজানা কারণে জাতীয় পার্টির ব্যাপারে পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ভিপি নূরের দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, জাতীয় পার্টি ও জিএম কাদেরের ব্যাপারে তাদের কথা না বলতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। নূর যেহেতু সে নির্দেশনা মানেন নাই, সেহেতু এই বর্বরচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং নূরকে পেটানো হয়েছে।