English

27 C
Dhaka
শুক্রবার, জুলাই ৪, ২০২৫
- Advertisement -

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে জাতি শক্তিশালী হয় না: কাদের গনি চৌধুরী

- Advertisements -

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে হিন্দু-মুসলমান সবারই সমান অধিকার রয়েছে। প্রতিটি নাগরিক এদের মালিক। বিগত সরকার আমাদের মালিকানা কুক্ষিগত করেছিল। আমরা নাগরিকরা আমাদের মালিকানা ফেরত চাই।’
তিনি বলেন, ‘সাহা সম্প্রদায় শুধু এ দেশে নয়, গোটা পৃথিবীতেই অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত এক সম্প্রদায়ের নাম। এদেশেও তাদের অবদান সর্বমহলে স্বীকৃত।’

আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর মাধবদীতে ড্রিম হলি ডে পার্কে ‘সাহা ফাউন্ডেশন’-এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সাহা সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় থেকে এ দেশে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে বারবার সংখ্যালঘু নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করে গেছেন এই প্রিয়া সাহা। আমি আজ সেই প্রিয়া সাহাকে এ অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা জানাই।

সাহা ফাউন্ডেশনের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ জমকালো আয়োজনে সাহা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মলয় কুমার সাহা সভাপতিত্ব করেন।

এতেজাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ,ড্রিম হলিডে পার্কের কর্ণধার ও সাহা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা প্রবীর সাহাসহ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে কাদের গনি চৌধুরীর হাতে সাহা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফুল তুলে দেওয়া হয়।

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, দেশ ও জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অপরিহার্য। একটি দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করতে পারে। কিন্তু তাদের মধ্যে যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকে তাহলে তারা কখনোই একটি শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হতে পারে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির অভাবে সেই জাতির ভেতরে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এতে করে সমাজ ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হলে সমাজ ব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ফলে অনিবার্যভাবেই যুদ্ধ ও সংঘাত দেখা দেয়। মানুষে মানুষে আস্থার অভাব দেখা দেয়, অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়, সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার পথ বন্ধ হয়ে যায়।দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। এমন কি কখনো কখনো দেশের সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে পড়ে। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে বাস করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান। এটি আমাদের গৌরব যে আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আমরা বাংলাদেশিরা খুব সচেতনভাবেই বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হই। সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা আমাদের আদর্শ। ৫২, ৬৯, ৭০, ৭১, ৯০, ২০২৪-এ এজাতি তাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি্র স্বাক্ষর রেখেছে। তাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর একতাকে চিরভাস্বর করেছে। মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, খাসিয়া, সাঁওতাল নির্বিশেষে সকলে এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকটি উৎসবে বাঙালি জাতি এক হয়ে যায়। পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা, বড়দিন, বৌদ্ধপূর্ণিমা, বৈসাবি আর জাতীয় দিবসগুলোতে সাম্প্রদায়িক পরিচয় ভুলে এক জাতি হিসেবে সকলে সমান অংশগ্রহণ করে।এটাই আমাসের ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/y1qi
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন