ঈদের প্রধান জামাতের সময় জানাল ডিএসসিসি

ঈদের জামাতে মুসল্লিদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণের মতো জায়গা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভিআইপি শ্রেণির জন্য রয়েছে আলাদা ব্লক, যেখানে ২৫০ জন একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন থাকবে পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মুসল্লিদের জন্য থাকবে অজুর ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা, মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স। নারীদের জন্য রয়েছে পৃথক নামাজের স্থান ও প্রবেশপথ।

শাহজাহান মিয়া আরও জানান, নগরবাসীর কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধার্থে ডিএসসিসি ৮টি অস্থায়ী হাট স্থাপন করেছে। এসব হাটে থাকবে পুলিশ, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং এটিএম বুথ। পশু স্বাস্থ্যসেবায় মোতায়েন থাকবে চিকিৎসক ও মেডিক্যাল টিম। হাট শেষ হওয়ার পরপরই দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

কোরবানির পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণে ডিএসসিসির ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ২০০টি মিনি ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এবার প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া ৭৫টি ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ, ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ২২২ গ্যালন স্যাভলন।

কোরবানির হাট ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পরিষ্কারে সমন্বয় করতে নগর ভবনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে একটি জরুরি অপারেশন সেন্টার চালু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান ডিএসসিসি প্রশাসক।

নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা সবাই যেন নিশ্চিন্তে ও আনন্দে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। ইনশাআল্লাহ ঈদের দিন সবাইকে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ পরিবেশ উপহার দেওয়া হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমানসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তারা।