প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সউদী আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর গভর্নর ও প্রধান খতিবের নেতৃত্বে কাবা শরিফ ধোয়ার কাজ শেষ হয়েছে। জমজম কুপের পানি ও গোলাপ তেলের বিশেষ মিশ্রণ দিয়ে এই পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়।
পূর্ব ঘোষণা ও রীতি অনুযায়ী, সকালে কাবা ধোয়ার কথা থাকলেও এবার রীতি ভেঙে এশার নামাজের পর কাবা শরিফ ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হলো। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় ধোয়ার কাজ শুরু করা হয়। সউদী আরবের বাদশাহ ও পবিত্র দুই মসজিদের জিম্মাদার সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের পক্ষ থেকে কাবা শরিফ ধোয়ার কাজে নেতৃত্ব দেন মক্কার আমির যুবরাজ খালিদ আল ফয়সাল।
ধোয়ার কাজে হারামাইন প্রেসিডেন্সির চেয়ারম্যান ও কাবা শরিফের প্রধান খতিব শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস, স্পেশাল ইমারর্জেন্সি ফোর্সের কমান্ডার ও হজ সিকিউরিটি ফোর্সের কমান্ডার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও অংশ নেন। অন্য সময় বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশ নিলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
কাবা ধোয়া উপলক্ষে মাগরিবের পর কাবার গায়ে বিশেষ সিঁড়ি লাগানো হয়। এর আগে সতর্কতা হিসেবে কাবার সিঁড়ি, দেয়াল ও কাবার গিলাফ জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে জীবণুমুক্ত করা হয়। কাবা ধোয়ার কাজে আগতরা মসজিদে হারামে এশার নামাজ আদায় করেন। এ সময় তাদেরকে বরকতময় জমজমের পানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। তারা পবিত্র জমজমের পানির সঙ্গে গোলাপ, উন্নতমানের সুগন্ধি উদ ও কস্তুরি মিশ্রিত পানি দিয়ে কাবা শরিফের অভ্যন্তরে ধোয়ামোছার কাজ করেন।
রীতি অনুযায়ী, প্রত্যেক মহররম মাসে কাবা শরিফ ধোয়া হলেও আরাফার দিন (৯ জিলহজ) কাবা শরিফের গিলাফ বদলানো হয়। কাবা শরিফ ধোয়ার কাজে সউদী সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটা একটা উৎসবও বটে। কারণ কোরআন ও হাদিসে বায়তুল্লাহর মর্যাদা দান, একে পবিত্র রাখা ও পরিশুদ্ধ করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন