সৌদি আরবের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ হজ পালনের উদ্দেশে আগত হজযাত্রীদের তাপ থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে, কারণ দেশটিতে তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় হজের সময় ছাতা ব্যবহারের গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরেছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ছাতা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ছায়ার উৎস, যা হিট স্ট্রেস বা রোদের কারণে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়।
তারা ব্যাখ্যা করেছে যে, ছাতা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে, যা রোদে পোড়া বা সানবার্নের প্রধান কারণ। এ ক্ষেত্রে সুরক্ষা ৬৪ শতাংশ থেকে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
এছাড়াও ছাতার ছায়া আশপাশের তাপমাত্রা প্রায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে, যার ফলে মক্কা ও তার আশপাশে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করার জন্য একটি তুলনামূলকভাবে শীতল পরিবেশ পাওয়া সম্ভব হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, তীব্র গরমে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) রোধে পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি।
আগামী ১৬ বছরের মধ্যে এবারই শেষবারের মতো গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হজ হতে যাচ্ছে। কারণ ২০২৬ সাল থেকে হজ মৌসুম ধীরে ধীরে শীত ঋতুর দিকে সরতে শুরু করবে। অর্থাৎ প্রথমে বসন্ত, এরপর শীতকালে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ।