English

26.6 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫
- Advertisement -

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ

- Advertisements -

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিশ।

নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানানো হয়।

রোববার (২১ আগস্ট) ডাক ও রেজিস্ট্রার যোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইরশাদ হোসেন রাশেদ।

নোটিশে বলা হয়েছে, মন্ত্রী হিসেবে শপথ ভঙ্গ হয়েছে আপনার। পাশাপাশি এটা বাংলাদেশের সংবিধানের ওপর আঘাত, তথা সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। এ অবস্থায় পদে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন আপনি।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে আপনি বলেছেন, ভারতের কাছে অনুরোধ করেছেন, যে কোনো মূল্যে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখা দরকার। আপনার এ বক্তব্যের মাধ্যমে শপথ ভঙ্গ করেছেন। আপনি সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছেন। দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করেছেন। এ অবস্থায় নোটিস পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।

ওই আইনজীবী জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেসব কথা বলেছেন তাতে তার মন্ত্রী হিসেবে শপথ ভঙ্গ হয়েছে।

এর আগে ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেরই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এটি সম্ভব যদি শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয় ভারত।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যে দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। খোদ আওয়ামী লীগও এ বক্তব্যে বিব্রত। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন তা দেশের জন্য অসম্মানজনক।

অন্যদিকে বিএনপি লুফে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য। দলটির নেতারা এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটি তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। এটি আমাদের সরকারের বক্তব্য না, দলেরও না। এই ধরনের অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য প্রত্যাহার না করে জানান, তার বক্তব্য ভিন্নভাবে গণমাধ্যমে এসেছে।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন, তোমাদের সরকারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কারণে আমাদের এখানে সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। আমি দিল্লিতে মিটিং করার সময় বলেছি, তোমাদের একজন মুখ্যমন্ত্রী এসব কথা আমাকে বলেছে। তখন আমি বলেছি, দুই দেশেরই উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতা প্রয়োজন আর সেই স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/izlu
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন