আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে সেনাবাহিনী নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘সামনে দেশ একটা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে আমরা সার্বিকভাবে সরকারকে সহযোগিতা করব। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করব, যেন আমরা সুন্দর একটা নির্বাচন পেতে পারি।’
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের স্বার্থে ও মানুষের কল্যাণে সেনাবাহিনী কাজ করে যাবে বলেও জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ কেবল নিজস্ব প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।বিভিন্ন সামাজিক ও জাতিগঠনমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের ভূমিকার প্রশংসা করে সেনাপ্রধান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে শান্তিকালীন পদক চালু হয়েছে। এবারও সেনাবাহিনী পদক, অসামান্য সেবা পদক ও বিশিষ্ট সেবা পদকপ্রাপ্তদের সম্মানিত করা হয়েছে। তিনি পদকপ্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানান।
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিয়ে আসছে। সবকিছুই সম্ভব হয়েছে সেনাসদস্যদের তীব্র দেশপ্রেম, কর্মদক্ষতা, শৃঙ্খলাবোধ ও দায়িত্বপালনের আন্তরিকতার কারণে।
এর আগে বীরত্বপূর্ণ কাজ ও বাহিনীতে অসামান্য অবদানের জন্য ৬৪ সেনাসদস্যকে পদক এবং ৭৫ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ সময় ২০২৪-২০২৫ ও ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন অবদানের জন্য ৯ জনকে ‘সেনাবাহিনী পদক’, ১৭ জনকে ‘অসামান্য সেবা পদক’ এবং ৩৮ সেনাসদস্যকে ‘বিশিষ্ট সেবা পদক’ প্রদান করা হয়।
