English

25 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫
- Advertisement -

আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, মুগ্ধর পানির বোতল

- Advertisements -

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টার পর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।

শোভাযাত্রার শুরু হয় চারুকলার সামনে থেকে। পরে তা শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর হয়ে আবার চারুকলা চত্বরে এসে শেষ হয়।

প্রতিবছরের মতো এবারও শোভাযাত্রায় বিভিন্ন মোটিফ রাখা হয়। তবে এবারের আয়োজন ছিল ভিন্ন আবহে। এবার প্রাণীর মুখাবয়বের পরিবর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল একটি প্রতীকী মুখাকৃতি, যা ‘ফ্যাসিবাদের মুখ’ নামে উপস্থাপন করা হয়। অনেকেই এটিকে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এই মুখাকৃতিটি বাঁশ, কাঠ ও বেত দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। তবে শোভাযাত্রার আগের দিন শনিবার ভোরে এটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ককশিট ব্যবহার করে দ্রুত এটি পুনরায় তৈরি করা হয়।

শোভাযাত্রায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক ছিল—একটি পানির বোতল, যা জুলাই আন্দোলনে গুলিতে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মরণে প্রদর্শন করা হয়। বোতলে লেখা ছিল, ‘পানি লাগবে পানি’। এটি অনেক দর্শনার্থীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

এছাড়াও শোভাযাত্রায় বাঘ, ইলিশ মাছ, পালকি ও শান্তির পায়রা মোটিফ দেখা যায়। মোট সাতটি মূল মোটিফ রাখা হয় এবার।

শোভাযাত্রায় অংশ নেন চারুকলার শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিসহ প্রায় ২৮টি সম্প্রদায়ের মানুষ। অংশগ্রহণ করে কৃষক দল, রিকশা-শ্রমিক সংহতি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি অশ্বারোহী দলও।

শোভাযাত্রার শুরুর দিকে ছিল আটটি ঘোড়ার বাহিনী। তবে, এবার পুলিশের কোনো আলাদা শোভাযাত্রা বাহিনী ছিল না।

শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদস্য, সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা, বিশিষ্ট নাগরিক ও শিল্পীরা। এবারের শোভাযাত্রায় রাজনৈতিক বার্তা ও প্রতিবাদের ভাষা বিশেষভাবে উঠে এসেছে, যা দর্শনার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন