জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের বৈঠক শুরু হয়েছে। এতে প্রাথমিক আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐক্যমত হয়নি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেছেন, ‘২০টির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভার শুরুতে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘অনেক বিষয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনার পর সেটি আবার আলোচনায় উঠানো হচ্ছে না। কারণ, আমরা দলীয়ভাবে আলোচনার সুযোগ দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য, সাফল্য নিয়ে দিনটি শেষ করা।’
তিনি বলেন, ‘কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা এই পর্যন্ত এসেছি সেটি যেন প্রেরণা হয়ে কাজ করে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।আমরা একমত হতে পারলে সেটা ইতিবাচক হবে।’
রাষ্ট্র গঠনে যে সুযোগ এসেছে তা হেলায় হারানো যাবে না জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘৫৩ বছরে এমন আলোচনার সুযোগ আসেনি। মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবের ২০টির মধ্যে আজকে তিনটি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
এদিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন, বিচারবিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ এবং জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাবনার ওপর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত আসবে। এখন পর্যন্ত যেসব বিষয় ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি সেগুলো আবারও আলোচনার সুযোগ রাখবে কমিশন।চলতি মাসেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চায় তারা।
এর আগের বৈঠকে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
আলোচনা ইতিবাচকভাবে অগ্রসর হচ্ছে এবং এভাবে অগ্রসর হলে জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ ঘোষণা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলী রীয়াজ।