স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ (সেকেন্ড ওয়েভ) কখন শুরু হবে আমি এখনো জানি না। এটি মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বাংলাদেশ সব সময় বিভিন্ন ঢেউয়ের মধ্যে অবস্থান করে। সুতরাং করোনার ঢেউ ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারব বলে আমি আশাবাদী।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. মো. এনামুল রহমান বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাপতি এম এ মবিন খান বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস এমন একটি বিষয় যা পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সাত মাস ধরে চলছে। কিন্তু কখন শেষ হবে বলা যাচ্ছে না। এখন আর কেউ করোনা টেস্ট করার জন্য আসে না। আমরা টেস্টের জন্য তাদের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কোথাও পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী) ছিল না। বাংলাদেশে পিপিই’র অভাব দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এখন পিপিই’র অভাব নেই। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পিপিই রফতানি করছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময় সারাদেশে লকডাউন জারি থাকলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কোনো লকডাউন ছিল না। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সারাক্ষণ কাজ করে গেছেন। আমাদের ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক কাজ করে গেছেন।
বাংলাদেশে ওষুধের কোনো অভাব হয়নি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ওষুধ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রেশনিং পদ্ধতিতে ওষুধ দেয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু বাংলাদেশেই আনাচে-কানাচে ওষুধ পাওয়া গেছে। সব সময় ছিল, এখনও আছে।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৭০ শতাংশ বেড খালি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য ৭৮টি হাসপাতাল রয়েছে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/4oq5
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন