গোপালগঞ্জবাসীর উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণ কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। তিনি বলেন, পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং এবং দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
বুধবার (১৬ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এসব লিখেছেন তিনি।
এর আগে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে পর দিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টা পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়।
আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণ কেউ ঘর থেকে বের হবেন না।
তিরি আরও লিখেছেন, সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের * ভেঙে দেওয়া হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপির নেতারা। এসময় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলা হয়। এরপর দলটির নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায় আয়োজিত এনসিপির সমাবেশ মঞ্চেও হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ। সমাবেশ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। পরে পৌর পার্ক এলাকা ত্যাগ করার কিছু সময় পর হামলার মুখে পড়ে এনসিপির গাড়িবহর।