ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সরকার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আজ শুক্রবার বিকেলে জানিয়েছে, ‘ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রস্তুত। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি কয়েক মিনিট দেরিতে শুরু হতে পারে।’
আজ বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। বিকেল চারটায় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তবে সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক চলছে এবং অতিথিদের কেউ কেউ ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেছেন বলে প্রেস উইং জানায়। তারা আরও জানায়, ‘আমরা আমাদের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা প্রত্যক্ষ করার অপেক্ষায় আছি।’
এদিকে প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রস্তুত। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি কয়েক মিনিট দেরিতে শুরু হতে পারে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে এবং কিছু অতিথি ইতিমধ্যে ভেন্যুতে এসে পৌঁছেছেন। আমাদের ইতিহাসের নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, জাতীয় সংগীত, শহীদদের প্রতি শোক জ্ঞাপনের পর শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। সেটি খুব বড় হবে না। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেবেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা সনদের অঙ্গীকারনামা অংশে সই করবেন। সবার শেষে সনদে সই করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে। অনুষ্ঠানের শুরুর আগে জুলাই সনদ তৈরির প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে।
তবে এ অনুষ্ঠান ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সংসদ ভবন এলাকায়। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং জুলাই আহত বীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানসহ ৩ দফা দাবিতে সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেন তারা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জুলাই সনদে তাদের স্বীকৃতি থাকবে জানিয়ে তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও আন্দোলনকারীরা অবস্থান করতে থাকেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।