English

28 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, জুন ১৯, ২০২৫
- Advertisement -

নির্বাচনি প্রচারে পোস্টার নিষিদ্ধ: ইসি

- Advertisements -

ঢাকা: নির্বাচনী প্রচারে পোস্টারের ব্যবহার বিধিমালা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টারে প্রচারের সুযোগ নিষিদ্ধ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সপ্তম কমিশন সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংশোধন করে আরও যে সব বিধানে কমিশন সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচারের উপদেষ্টারা যেতে পারবেন না। বিলবোর্ডে প্রচার করা যাবে, রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রার্থী প্রচার ইত্যাদি।

বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আজকে আমাদের কমিশনের সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হলো এই সভায় আমাদের আলোচ্যসূচিতে ছিল রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা চূড়ান্তকরণ এবং আরেকটি বিষয় ছিল জাতীয় সংসদে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আলোচনা। আমরা প্রথম এজেন্ডাটা সম্পন্ন করতে পেরেছি।

সময়ের অভাবে এবং আমাদের জিআইএস (জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেনশন সিস্টেম) এর কিছু উপাত্ত এখনো বাকি আছে বিধায় সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণী বিষয়ক আলোচনাটা আজকে আর আমরা এগিয়ে নেই নাই। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ সংসদীয় আসনের এটা সম্পন্ন হবে। তা আজকের মূল আলোচনাটা হয়েছে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীর আচরণবিধি সংক্রান্ত।

তিনি বলেন, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে আরপিওর ধারা ৯১-তে যেটা আছে প্রার্থিতা বাতিল করার এখতিয়ার, এটা ইতোপূর্বে আচরণবিধিতে ছিল না, এটাকে সন্নিবেশ করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে বিলবোর্ডের ব্যবহার অতীতে ছিল না এটা ইন করা হচ্ছে। পোস্টার ব্যবহার বাদ করার ব্যাপারে যেটা সংস্কার কমিশনেরও একটা প্রস্তাব ছিল। আমরাও একমত হয়েছি। আমরা পোস্টার ব্যবহার বাদ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি। ব্যানার ফেস্টুন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইত্যাদিগুলোকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে যারা বিবেচিত হন সেখানে উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যদেরকেও যোগ করা হয়েছে। ফলে তারা প্রচারে যেতে পারবেন না। বিভিন্ন সরকারি ফ্যাসিলিটির ব্যবহার যেমন সার্কিট হাউস, ডাকবাংলো, রেস্ট হাউস এর এটার উপরে কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরিবেশ বিষয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে যে প্রচার প্রচারণায় পরিবেশবান্ধব সামগ্রীর ব্যবহারের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে।

ভোটার স্লিপ ইন্ট্রোডিউস করার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। টিশার্ট, জ্যাকেট ইত্যাদির ব্যাপারে যে অতীতে বিধিনিষেধ ছিল। এটার ব্যাপারে একটু শিথিল মনোভাব পোষণ করা হয়েছে। আর্মসের যে সংজ্ঞা ছিল সেই সংজ্ঞার মধ্যে অর্থাৎ অস্ত্র এর সংজ্ঞার মধ্যে দেশীয় অস্ত্র শামিল করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের বিষয়টি বিশদভাবে যোগ করা হয়েছে। আলোকপাত করা হয়েছে।

শব্দের ব্যবহারে আমরা আগে যেমন শব্দের মাত্রার ওপরে কোনো সীমা ছিল না। সেটাকে ৬০ ডেসিবল পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রচারণা তিন সপ্তাহই থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সকল প্রার্থী সভাপতি বা সদস্য হিসেবে পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন বা মনোনীত হয়েছেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাদেরকে এই প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার পরে সেখান থেকে পদত্যাগ করতে হবে বলেও জানান সানাউল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কোনো ধরনের ফরেন ইনভেস্টমেন্টর ওপর না করা হয়েছে। কমনভাবে একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সকল প্রার্থী যাতে ইশতেহার ঘোষণা করতে পারেন বা করেন সেটার বিধান করা হয়েছে। ডায়লগে অংশগ্রহণের ব্যাপারে যেটা আছে যে আপনাদের বিভিন্ন টিভি মিডিয়াতে যে ডায়লগের আয়োজন হয়ে থাকে এটাকে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

বিধিমালা লঙ্ঘনে যে নরমাল শাস্তি ছিল ছয় মাস কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, সেটাকে ছয় মাস কারাদণ্ড এবং দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর অঙ্গীকারনামা নতুনভাবে সংযোজিত করা হয়েছে- যে এই বিধিমালা মেনে চলার ব্যাপারে। এটাই দল এবং প্রার্থী উভয় আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত হলো। তবে মনে রাখতে হবে যে আচরণ বিধিমালার অনেকগুলো পরিবর্তন বা সংশোধন এটা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিওর) ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং বর্তমানে যে এটা চূড়ান্ত হলে এটা প্রকাশিত হয়ে যাবে। আমাদের ওয়েবসাইটে ওপরে লেখা থাকবে আরপিও সংশোধন সাপেক্ষে।

সংস্কারের আগেই সংশোধনের সিদ্ধান্ত, এটা কি বিষয়টা এরকম কিনা যে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার মতো-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি তো বলে দিলাম সাপেক্ষে, এটা হতেই পারে। কারণ আমাদের কিছু জিনিস অবহিতকরণ প্রয়োজন এবং এটা এটার সঙ্গে আবার মতামতের বিষয় আছে। অনেকে পক্ষে বিপক্ষে এটা নিয়ে আলোচনা হবে আমরা চাই সে আলোচনাগুলো হোক ।

পোস্টার কি একবারে থাকবে না-এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, পোস্টার আমরা রাখছি না। প্রার্থীরা পোস্টারে প্রচার চালাইতে পারবে না। ব্যানার আছে, ফেস্টুন আছে, বিলবোর্ড নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া আছে, লিফলেট-হ্যান্ডবিল আছে; এগুলো সব আছে শুধু পোস্টার নাই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমন প্লাটফর্ম বলতে আমাদের যে রিটার্নিং অফিসাররা আছে তারা আপনার যে আসন আছে সেই আসনে সব কজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নিয়ে একটি প্লাটফর্ম থেকে একদিনে তাদের ইশতেহার বা ঘোষণাপত্রগুলো পাঠ করার ব্যবস্থা করবে।

তিনি বলেন, আচরণবিধি আমরা সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছি। এটার ওপরে যে আরপিওর সংশোধনের বিষয় আছে, আবার রাজনৈতিক কনসেন্সাসের ভিত্তিতে যদি কিছু পরিবর্তন সংশোধন হয় সেটাও করতে হতে পারে। সুতরাং এটা এইটা খসড়া আকারেই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নীতিগত অনুমোদন দিয়ে পোস্ট করে দিব। দলের মতামত প্রয়োজন হতে পারে হতে পারে। ডিসকাশন তো একটা চলমান প্রক্রিয়া।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন