English

26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

বন্যায় আমাদের ক্ষতি হচ্ছে এটা ঠিক, আবার লাভও আছে: প্রধানমন্ত্রী

- Advertisements -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই যে বন্যা হলো, এতে আমাদের কষ্ট-ক্ষতি হচ্ছে এটা ঠিক, আবার আমাদের লাভও আছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। এখানে যদি আমাদের আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ পানি যদি কমে যায়, ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার যদি ঠিক থাকে, ভূমিকম্প আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।’

মঙ্গলবার (২১ জুন) সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও তৎসংলগ্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর সিলেট সার্কিট হাউসে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় তিনি বলেন, ‘এই জিনিসটা সবাই জানে যে, এই বন্যায় আমাদের আন্ডারগ্রাউন্ড রিচার্জ হবে। পাশাপাশি যে পলি আসবে, তাতে জমির ফার্টিলিটি বাড়বে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এগুলো সবসময় মাথায় আছে আমাদের। যখনই পানিটা টানবে, সঙ্গে সঙ্গে কৃষক যাতে চাষবাস করতে পারে, তার ব্যবস্থা আমরা নেব। যদি বন্যা একটু দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে ধানের যে চারা তৈরি করা, তার জন্য বীজ সংরক্ষণ করে রাখা আছে, ফার্টিলাইজার রাখা আছে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেব এবং কৃষক যেন আবার ফসল ফলাতে পারে, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাছের কিছু অসুবিধা, যারা মাছ পালে, সেখানে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এটাও যেমন সত্যি, আবার এই বন্যায় কিন্তু পুকুরে মাছের পোনাও আসে। এটাও মাথায় রাখবেন। আগে তো আর মাছ পালতো না, বন্যার সময় আমাদের বাড়িতেই দেখেছি, পুকুরের একপাশ কেটেই দিতো, যাতে বন্যার পানি ঢুকে এবং বন্যার পানির সঙ্গে মাছের পোনা ঢুকে। দু-দিকটাই আছে, ক্ষতিও হচ্ছে, যারা মাছ চাষ করে তাদের ক্ষতি হয়ে গেছে, কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নেব। জুলাই মাস থেকে আবার আমরা মাছের পোনা দেব, পোনা ছাড়ব।’

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখান থেকে সিলেট সার্কিট হাউজে যান।

সিলেট সার্কিট হাউজে প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসন বিষয়ে এক ‘মতবিনিময় সভায়’ অংশ নিয়েছেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে সকাল ৮টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে রওনা হন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুটি হেলিকপ্টারে তার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, আহমদ হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, এসএসএফের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, একান্ত সচিব-১, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, পিজিআরের কমান্ডার, এডিসি, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১, এসএসএফের ৪ জন, বিটিভির ক্যামেরাম্যান এবং মিডিয়া সদস্য ৪ জন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন