রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে কিছুক্ষণ পর পেজ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। তবে কী কারণে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
আজ বেলা দুইটার কিছু পর প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে করা পোস্টটি লেখা ছিল, ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যারা অর্থ সাহায্য করতে চান, তারা উপরোক্ত ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের উল্লেখিত নম্বরে তা জমা দিতে পারেন। হিসাবের নাম: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল, চলতি হিসাব নম্বর-০১০৭৩৩০০৪০৯৩, সোনালী ব্যাংক লি., প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় করপোরেট শাখা।’
একই সময়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও পোস্টটি শেয়ার করেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
এ ঘটনার পর ফেসবুকে সমালোচনা শুরু হয়। খাদিজাতুল কোবরা নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি এত দিনে বুঝতে পেরেছি, বন্যার সময় টাকা তুলব না বলাতে মানুষ কেন জিনিসটা মানতে পারে নাই। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা টাকা চাচ্ছে বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য! মাশা আল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আমার আসলেই আর কিছু বলার নাই।’
আরেকজন ব্যবহারকারী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মানে একদিন না যাইতেই সরকারের ক্রাউড ফান্ডিংয়ে যাওয়া উচিত—এই বুদ্ধিটা কোন উজবুক সরকারকে দিল?’
পরে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হলেও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্টটি এখনো আছে।