English

28 C
Dhaka
রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
- Advertisement -

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি ইলিয়াস কাঞ্চনের

- Advertisements -

২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। আজ এক ফেসবুক লাইভে ইলিয়াস কাঞ্চন এই দাবি জানিয়েছেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন আন্দোলন শেষে সেই সময়কার সরকার বলেছিলেন শিক্ষার্থীদের সকল মামলা তুলে নেয়া হবে কিন্তু আজও অনেকের মামলা শেষ হয়নি। তিনি জানান বিভিন্ন সময় তার কাছে ছাত্ররা তাদের নির্যাতনের বিষয় নিয়ে কথা বলতে আসেন সহযোগিতা কামনা করেন। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন সময় এসেছে এখন এই মামলাগুলো নিয়ে কথা বলার। ২০১৮ সালের শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো ওপর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বর্তমান সরকার প্রধানের নিকট তিনি আহবান জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব নিহত হয়। ক্লাস শেষে বাসের জন্য তারা ফুটপাতে অপেক্ষা করছিল। এর প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলনে নামেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। টানা পাঁচ দিন তারা সড়কে অবস্থান করে। এ সময় যান চলাচলের শৃঙ্খলা আনা, চালকদের লাইসেন্স ক্ষতিয়ে দেখার কাজ করে তারা।

পাশাপাশি আরো কয়েকটি দাবি জানান ইলিয়াস কাঞ্চন। ইলিয়াস কাঞ্চনের ভিডিও বার্তাটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

Advertisements

প্রিয় দর্শক সকলের জন্য দোয়া রইলো আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকেই ভালো রাখুন আমার দেশকে, দেশের মানুষকে ভালো রাখুন।

এর আগে আপনারা দেখেছেন যে আমি তিনটা ভিডিও দিয়েছি। সড়কে আসলে কি করা দরকার সেই বিষয়ে আমি কথা বলেছি।

আজকে অন্য একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি। সেটি হল আমি এর আগে দেখেছি অনেক বড়লোক আছেন। ব্যবসায়ী আছেন তাঁরা কিন্তু তখনকার যে প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন ওনার একটা নিজস্ব ফান্ড ছিল প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড। সেখানে ব্যবসায়ীরা, বড়লোকেরা তারা টাকা দিতে যেত। এবং দিয়ে দিয়ে ছবি তুলতো প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে।

আমি আজকের জন্য বলছি যে, আজকে দেশে এই সংগ্রাম করতে গিয়ে আমাদের অনেক সন্তানরা এবং অনেক মানুষ, সাধারণ মানুষও আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দরকার, রিহ্যাবিলিটেশন তাদের দরকার। অনেক পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষগুলো পৃথিবী থেকে চলে গেছে।

তাদেরকে কিন্তু আজকে আমাদের এই যে যাদের অর্থ আছে তারা পাশে দাড়াতে পারেন। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইল। এবং এখন ইনট্রিম সরকার যিনি আছেন তার এমন ফান্ড থাকলে সেখানে দেশের মানুষ সকলেই দশ টাকা করে অন্তত কন্ট্রিবিউশন করলে সেরকম একটা ফান্ড যদি তৈরি করা যায় তাহলে আমার মনে হয় যে, এই যে মানুষগুলো আজকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা যারা মৃত্যু বরণ করেছে তারকদের পরিবার এবং যারা চিকিৎসাধীন আছে তাদের চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে এই অর্থ কিন্তু আমরা কাজে লাগাতে পারতাম।

Advertisements

পাশাপাশি আর একটি কথা বলবো। আপনারা নিশ্চই জানেন দুই হাজার আঠারো সালে যে ছাত্র আন্দোলনটি হয়েছিল নিরাপদ সড়ক চাইয়ের জন্য। সেই সময়ও কিন্তু অনেক সন্তান আহত হয়েছে। এবং অনেক নামে  অনেক মামলা হয়েছে।

আমার কাছে অনেকেই এসেছে। কিন্তু আমি তো কিছু করতে পারিনি। এখনো, গতকালকেও আমার কাছে তাদের মধ্যে থেকে এসেছে আমার কাছে। আমি আশা করবো যে দুই হাজার আঠারো সালের নিরাপদ সড়ক চাই নিয়ে যে সমস্ত সন্তানরা আন্দোলন করেছিল। তাদের যে মামলা সেই মামলাগুলোর ব্যাপারেও বর্তমান সরকারকে আমি অনুরোধ করবো তাদের মামলার বিষয়টিও তাদের দেখা উচিত। তখন কিন্তু সরকার বলেছিল যে তাদের নামে যে মামলা আছে সেগুলো উঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেগুলো উঠাই দেওয়া হয়নি। সেই ছাত্ররা কিন্তু এখনো তাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। চাকরির ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আপনারা জানেন যে চাকরির ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয় যখনই একটা মামলা থাকে কি কারণে মামলায় সমস্ত রিপোর্ট দিয়ে কিন্তু তাদের জীবনটাকে দুর্বিষহ করে ফেলেছে।

তো সেই মামলাগুলো উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমান এই ইনট্রিম সরকারকে আমি অনুরোধ করছি। দুই হাজার আঠারো সালে আপনারা দেখেছেন যে অনেকেই কিন্তু আহত হয়েছে। অনেকেই কিন্তু নির্যাতন করা হয়েছে সেই সময়ও কিন্তু কয়েকজন মারা গেছে। সেই বিষয়টিও কিন্তু আমি বলবো যে বর্তমান আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে তাদের বিষয়টিও একত্র করে আমাদের ভাবা উচিত।

পাশাপাশি আমি আরো বলতে চাই আমাদের যে এই পরিবহন সেক্টরে যারা আপনার মাফিয়া অবস্থায় ছিল এবং তারা কিন্তু এখনো দিব্যি রয়ে গেছে। তাদেরও আমি বলবো তাদেরকে অ্যারেস্ট করা হোক। তাদেরও সম্পদের হিসাব নেওয়া হোক। তাদেরকেও বিচার এর আওতায় আনা হোক।

এইটাই কিন্তু সময় পরবর্তী সময়ে কাজগুলো করা যাবে না। এবং আপনারা জানেন যে, আনিসুল হক সাহেব যে ট্রাক স্ট্যান্ডটা পরিষ্কার করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবারও সেই ট্রাক স্ট্যান্ড কিন্তু ওই ট্রাক দিয়ে অনেকগুলো রাস্তা এখনো পর্যন্ত বন্ধ আছে। সেই বন্ধ রাস্তাগুলো এই সময় যদি না খোলা যায় তাহলে কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর খোলা যাবে না।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আজকের রাশিফল

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন