English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

স্বাস্থ্যখাতে সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব: আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

- Advertisements -

স্বাস্থ্যখাতের উপর চাপ কমাতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে এই খাতে বাজেটের উপর চাপ কমবে এবং হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানো সম্ভব হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর ২০২২) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য খাতে সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ সেমিনারটি আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল গনি মোল্লার সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোনায়েম হোসেন।

সেমিনারে ইলিয়াস কাঞ্চন সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি প্রত্যেককে স্ব স্ব অবস্থানে দায়িত্ব পালন ও সচেতন হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি সড়ক নিরাপত্তায় সঠিক ম্যানেজমেন্টের জন্য সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছার কথা তুলে ধরেন। সড়ক ব্যবহারে সবাই যদি দায়িত্বশীল হয় এবং আইন মেনে চলে তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, রোড ক্র্যাশ বা সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে উদ্বেগজনক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। দেশে ৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ রোড ক্র্যাশ। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ মানুষ মারা যায়, তার বড়ো একটি অংশ সময়মতো হাসপাতালে না নিতে পারার কারণে মৃত্যুবরণ করে। এই মৃত্যু প্রতিরোধে পোস্ট-ক্র্যাশ ম্যানেজমেন্ট বা দুর্ঘটনা পরবর্তী তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করার বিষয়ে কাজ করতে হবে।

সেমিনারে স্বাস্থ্য খাতের ওপর সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব
বাংলাদেশের মহাসচিব এবং নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী), অর্থোপেডিক সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ।

তারা বলেন, স্বাস্থ্যখাতের ওপর অতিরিক্ত রোগীর চাপ কমাতে হলে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য
জাতিসংঘ প্রণীত রোড সেফটি গাইডলাইন অনুসরণ করা জরুরি। অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমাতে পোস্ট ক্র্যাশ মেনেজমেন্ট ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানান তারা।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন নিসচা’র মহাসচিব লিটন এরশাদ, ব্র্যাকের রোড সেইফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ, নিসচার সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন ও বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ রোড সেফটি কায়ালিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন