নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক জনাব ইলিয়াস কাঞ্চনের সুযোগ্য পুত্র এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব মিরাজুল মঈন জয় এক সংক্ষিপ্ত সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তাঁর এই আগমন উপলক্ষে এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ১৬ ডিসেম্বর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক চাই যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি আরিফুল ইসলাম কলিন্সের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব মিরাজুল মঈন জয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব মিরাজুল মঈন জয় তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই একটি সামাজিক আন্দোলন, এটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্য। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিয়জন হারানোর বেদনা থেকে যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, আজ তা একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সচেতনতামূলক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
আজ প্রবাসে বসেও আপনারা যে এই আন্দোলনের পাশে আছেন, তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার। সড়ক দুর্ঘটনা কোনো একক দেশের সমস্যা নয়—এটি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। তাই দেশে-বিদেশে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

মহান বিজয় দিবস ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই আলোচনা সভা আমাদের নতুন করে শপথ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে—আমরা নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে আপসহীন থাকব। সচেতনতা, নৈতিকতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমেই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে নিরাপদ সড়ক গড়ার অঙ্গীকার করি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি জনাব ফয়সাল আইয়ুব এবং সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আনসার মিয়া।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই যুক্তরাজ্য শাখার সহসভাপতি রিপন ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, অর্থ সম্পাদক তায়েফ সারওয়ার, দুর্ঘটনা ও অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক কাজী তানভীর, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোকসানা হাসি সোনিয়া এবং এক্সিকিউটিভ সদস্য শুক্কুর আহমদ, ফাহিমা নিপা, খালিছ আহমেদ, লোকমান মিয়া, বাবুল মিয়া, মুহিন আহমেদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে প্রবাসীদের ভূমিকা, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
