English

40 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

নিসচা খানজাহান আলী থানা শাখার উদ্যোগে সড়ক দুর্ঘটনারোধে সচেতনতা বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

- Advertisements -

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি: খানজাহান আলী থানা নিরাপদ সড়ক চাই এর উদ্যোগে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনা বিষয় এক আলোচনা সভা ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় শিরোমণি নিসচা কার্যালয় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খানজাহান আলী থানা নিরাপদ সড়ক চাই এর সভাপতি শেখ আব্দুস সালাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান লিটনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন।

Advertisements

বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও খানজাহান আলী থানা সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি শেখ বদর উদ্দিন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা স,ম, রেজোয়ান আলী। বক্তৃতা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লিমন মোল্লা, শেখ একরাম হোসেন, মাস্টার রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইমদাদ হোসেন, মোহাম্মদ বাচ্চু শেখ, নাজমুল শেখ, শেখ আবু তালেব, মোহাম্মদ মোস্তফা, এনায়েত হোসেন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, শেখ মাসুম বিল্লাহ, গাজী মোতাহার হোসেন, মোঃ বিপ্লব হোসেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম আজাদ হোসেন বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়ক পথের নিরাপত্তা প্রসঙ্গটি আজকের দিনে সত্যিকারার্থে তাই পথচারী ও সব ধরনের পরিবহন যাত্রীকে ভাবিয়ে তুলেছে। মৃত্যুকে অস্বীকার করা যায় না, কিন্তু গাড়ির চাকায় কিংবা ধাক্কায় মানুষের অকাল মৃত্যু,আহত ও পঙ্গুত্ব প্রত্যাশিত নয়।

কিন্তু প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের অনাকাক্সিক্ষত হতাহতের ঘটনা ঘটছে।বিশ্বব্যাপি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জাতিসংঘ একটি অভিন্ন ফর্মুলা বা ৫টি পিলার ঘোষণা করেছে।যেগুলির সঠিক বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রত্যাশিত পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। ৫টি পিলার হল-১) সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ২) ঝুঁকিমুক্ত যানবাহন ৩) সচেতন সড়ক ব্যবহারকারী ৪) সড়ক দুর্ঘটনা পরবর্তী করণীয় এবং ৫) গাড়িচালনার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা।

Advertisements

তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সময়মত চিকিৎসা সেবা না দিলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেয়ার পূর্বে প্রাথমিকভাবে কিছু করণীয় কাজ করলে আহত ব্যক্তির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

প্রধান অতিথি বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা এর ২০৩০ সালের পরিকল্পনায় ৩.৬ এবং ১১.২ অভীষ্ট লক্ষ্য হলো যথাক্রমে আন্তর্জাতিকভাবে আহত ও নিহতের সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং সবার জন্য নিরাপদ, সুরক্ষিত, সহজলভ্য এবং টেকসই জীবন নিশ্চিত করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্যোগের সাথে একাত্ত্বতা  ঘোষনা করেছেন। নিরাপদ ও ভ্রমণবান্ধব সড়ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার।এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত দ্বিতীয়বারের মতো ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইনগত কাঠামো শক্তিশালী করা হয়েছে এবং প্রণয়ন করা হয়েছে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮।
আইনটি এবছর আবারো সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাই আলোচ্য সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো নিরসনে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো আইনে অর্ন্তভূক্ত করা প্রয়োজন: 

১)গাড়ীর সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা(যেমন-শহরে সর্বোচ্চ ৪০ কি.মি.,হাইওয়েতে গাড়ি ও মোটরসাইকেলের জন্য ৯০ কি.মি.,হাইওয়েতে বড় ও ভারী পরিবহন বাস,ট্রাকের জন্য ৮০ কি.মি. পথচারীদের পারাপার সড়কে ৩০ কি.মি.গতিসীমা আইনে নির্ধারন করে দেওয়া); স্থানীয় সরকারকে সর্বনিম্ন গতিসীমা নির্ধারনে নির্দেশনা প্রদান;গাড়ির গতিসীমা ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন প্রনয়ণ।
২)মদ্যপান/মাদক সেবন করে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে কোন চালক মদ্যপায়ী/মাদক সেবন করছে কিনা তা  নির্ণয়ে আরবিটি এবং ডোপটেস্ট পদ্ধতির মাধ্যমে জিরো টলারেন্সে থাকা।
৩)মোটরসাইকেল আরোহীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ০২ জন এবং হেলমেট পরিধানের ক্ষেত্রে চালক ও আরোহী উভয়ের জন্য বাধ্যতামূলক সেই সাথে বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দেওয়া।
৪)গাড়ি বা যানবাহনে চালকসহ সকল যাত্রীদের (সামনের ও পিছনের সিটের) সিট বেল্ট পরিধান বাধ্যতামূলক করা, পুরাতন যানবাহনে রেট্রফিটিং এর মাধ্যমে সকলের জন্য সিট বেল্টের ব্যবস্থা রাখা এবং
৫)প্রাইভেট কারে এবং পরিবহনে শিশুদের জন্য নিরাপদ/সুরক্ষিত আসন সিস্টেম চালু করা বিশেষ করে ১২ বছরের নিচে শিশুদের জন্য।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন