ভৈরব প্রতিনিধি:“ পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়”—এই স্লোগানকে ধারণ করে আজ শুক্রবার ০৩ অক্টোবর ২০২৫ সকালে ঢাকা সিলেট ও ভৈরব ময়মনসিংহ সড়কের ভৈরব প্রান্তর ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ভৈরব শাখার রোড ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি। ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে যাত্রী, চালক ও পথচারীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সড়ক যেন দুর্ঘটনার নয়, নিরাপত্তার প্রতীক হয়ে ওঠে।এজন্য প্রত্যেককে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি না চালানো, হেলমেট ও সিটবেল্ট ব্যবহার করা, অযথা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা না দেওয়া এবং রাস্তা পারাপারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব। এ ছাড়াও ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় চত্বরের চারপাশের ২০০ গজের মধ্যে কোন পরিবহন যাত্রী উঠানামা না করানো, সিএনজি ও অটোরিকশার জন্য নির্ধারিত স্থানে স্ট্যান্ড করা, রাস্তার দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সহ বিভিন্ন দাবী জানান প্রশাসনের কাছে নিসচা নেতৃবৃন্দ।
এ সময় ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহাবুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ ফিরোজ আলম, টি এস আই হারুন উর রশীদ, সাব ইন্সপেক্টর রুকুনুজ্জামান, বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবু বায়েছ মিয়া,সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া। এছাড়াও নিরাপদ সড়ক চাই
নিসচা ভৈরব শাখার পক্ষ থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা ও লিফলেট বিতরণ করেন নিসচার সভাপতি, মোঃ আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য মোঃ আলাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক ও উদযাপন কমিটির আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক ইমরান হোসাইন, প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব সজিব আহমেদ, কার্যকরী সদস্য, মোঃ জাকির হোসেন, জাকির হোসেন বিএসসি, ফরহাদ আহমেদ, আমজাদ হোসেন, আশরাফুল আলম, মোঃ জহিরুল ইসলাম, তাসলিমা বেগম লিছা, তোফাজ্জল হোসেন,রন্জিতা বেগম, ফারজানা সাদেহা, রুবেল আহমেদ, আবেদ হোসেন পলাশ, কাজল মিয়া, হাজী কুদ্দুছ,লোকমান মিয়া, ইমরান হোসেন, মোঃ জামাল মিয়া, মোঃ শফিকুল ইসলাম । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভৈরব এর ইয়াং বাংলা ক্লাবের একটি সুসজ্জিত টিম।
সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সচেতন নাগরিকদের উপস্থিতি কর্মসূচিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
উপস্থিত বক্তারা মনে করেন, নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা গেলে নিরাপদ সড়ক গড়তে বড় অবদান রাখা সম্ভব হবে।