তাহমীদ ইশাদ রিপন, বড়লেখা প্রতিনিধি: জাতীয় সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সহধর্মিণী মরহুমা জাহানারা কাঞ্চন এর ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সকল মৃত মুসলমানের রুহের মাগফিরাত এবং ইলিয়াস কাঞ্চনের রোগমুক্তি কামনায় আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ৮ টায় নিসচা কার্যালয়ে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন বড়লেখা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
দোয়া মাহফিলে মরহুমা জাহানারা কাঞ্চন থেকে এই পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত, নিসচার প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনের রোগমুক্তি ও সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া হয়।
দোয়া পূর্ববর্তী আলোচনা সভায় নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় ও সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপন এর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন হযরত মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা ইয়াহইয়া আহমেদ, মাওলানা ফয়েজ আহমদ, মাওলানা আবু তাহের, নিসচা পৃষ্ঠপোষক ও ষাটমাকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক আবুল কাসেম, নিজাম উদ্দিন।
এছাড়াও বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মার্জানুল ইসলাম মার্জান, সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জমির উদ্দিন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মাছুম আহমদ চুন্নু, মৃনাল কান্তি দাস।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ দপ্তর সম্পাদক নয়ন চক্রবর্তী, সহ দুর্ঘটনা ও অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক নূর আলম মোহন, কার্যনির্বাহী সদস্য শাকিল আহমদ, দিগন্ত দাস দ্বীপ্ত প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৩২ বছর পূর্বে চট্টগ্রামের অদূরে চন্দনাইশে বান্দরবানে স্বামী ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে যাবার পথে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় জাহানারা কাঞ্চন নিহত হন। রেখে যান অবুঝ দুটি শিশু সন্তান জয় ও ইমাকে। ইলিয়াস কাঞ্চন সে সময় ছবির স্যুটিংয়ে বান্দরবান অবস্থান করছিলেন। স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে দু’টি অবুঝ সন্তানকে বুকে নিয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে ইলিয়াস কাঞ্চন নেমে আসেন পথে।
পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়- এই শ্লোগান নিয়ে গড়ে তুলেন একটি সামাজিক আন্দোলন ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’। এ মাসে ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস এবং মরহুমা জাহানারা কাঞ্চনের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী, যাঁর অকাল মৃত্যুতে সড়ককে নিরাপদ করার এই সামাজিক আন্দোলনের জন্ম।
