English

16 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
- Advertisement -

আগামীকাল আমার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হবে: রুমিন ফারহানা

- Advertisements -

দল মনোনয়ন না দিলেও ভোটের মাঠে থাকছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আগামীকাল দুপুর ১২টায় সরাইল উপজেলার সহকারী রিটার্নি অফিসারের কার্যালয় থেকে আমার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হবে। আমিও দুপুরের মধ্যে এলাকায় যাব।’

এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘অবশ্যই নির্বাচন করব।

’ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে আপনার বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দল দলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি আমার সিদ্ধান্ত নেব। আমি নির্বাচন করব।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের দুই ইউনিয়ন) আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন রুমিন ফারহানা।

তবে বিএনপি তাকে মনোনয়ন দেয়নি। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কাছে বিএনপির ছেড়ে দেওয়ার চারটি আসনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে চারটি আসন ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে দেওয়া হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়ন। ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি। সেই তালিকায় তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে কারো নাম ঘোষণা করেনি দলটি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোট ভোটার আছেন চার লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৮ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ভোটার দুই লাখ ৮৮ হাজার ৬০৯টি, আশুগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে এক লাখ ৫৩ হাজার ৯৯ ও বিজয়নগর উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ভোট আছে ৫৭ হাজার ৭৪০টি।

বিজয়নগর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন ওই আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সামনে থেকে কাজ করেছেন।

গত ২০ ডিসেম্বর বিকেলে উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের খেলার মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা তার বক্তব্যে দল থেকে মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করার বিষয়টি স্পষ্ট করেন। নিজের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না বাপের মতো বেটিরও কপাল আছে কি না।

বাপ স্বতন্ত্র ছিলেন, বেটিও স্বতন্ত্র—সময়ই এর উত্তর দেবে। মনোনয়ন আমি কিনব না। এই মনোনয়ন আমার এলাকার ভোটারদের। তারা যদি মনে করেন, তবেই সেটা আমার হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৭৩ সালে আপনাদের বাপ-দাদার ভোটে স্বতন্ত্র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তখন শেখ হাসিনার বাপ শেখ মুজিবুর রহমান আমার বাপকে জিততে দেননি।’

জোটের স্বার্থে দল এ আসনটি ছেড়ে দেওয়ার পর রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বিএনপি এত বড় দল। তাদের ভালো-মন্দ দেখতে হয়। যেহেতু জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে তারা জোট করেছে, আসন না দিলে কেমন করে জোট হবে? দল বাধ্য হয়ে তাদের আসন দিয়েছে।’

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/7p0y
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন