জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো: চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, একটা আন্দোলন করা অনেকটা সহজ, কিন্তু একটা সফল আন্দোলনের পর গঠনমূলক পলিসি নিয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া কঠিন। কয়েকজন লোক মিলে একটি বাড়ি দ্রুত ভাঙতে পারবে। কিন্তু একটি বাড়ি নির্মাণ করতে দক্ষ প্রকৌশলী দরকার।
ব্যারিস্টার আনিস বলেন, বাংলাদেশে অধিকাংশ দলের নেতারাই দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু নিজ দলে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের তার উদাহরণ। তিনি সারাক্ষণ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেন, কিন্তু নিজে দল পরিচালনা করেন স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায়। নিজেকে তিনি দাবি করেন, দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা। দলের নেতাকর্মীদের সামান্য মতামতের মূল্য না থাকলেও নিজের স্ত্রীর মতামত তিনি প্রাধান্য দেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির এক যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জাতীয় পার্টির কো: চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশে প্রতিদিন খুন ধর্ষণ চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে। এরমধ্যে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। দেশের সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। মানুষের জান- মালের নিরাপত্তা নাই।সাধারণ মানুষকে আশা -ভরসা দেয়ার মতো রাজনৈতিক দল একমাত্র জাতীয় পার্টি। আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৃহত্তর ঐক্য করে জাতীয় পার্টি কে পরিচালিত করব। আমরা কোনো একক নেতৃত্বে বিশ্বাসী নই। আগামী দিনে পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টি পরিচালিত হবে যেীথ নেতৃত্তের মধ্য দিয়ে। যেখানে থাকবে তৃণমূলের মতামতের প্রাধান্য।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জি এম কাদের স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় আমাদের সিনিয়র নেতাদের বহিষ্কার করেছিল। কিন্তু মহামান্য আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আর স্বৈরতান্ত্রিক সিস্টেমের পরাজয় হয়েছে। এখন থেকে জাতীয় পার্টিতে কোন কর্তৃতবাদ স্বৈরতন্ত্রের স্থান নেই।জাতীয় পার্টির তৃণমূলের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী স্বৈরতান্ত্রিক সিস্টেমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা যেমন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, তার আগে নিজ দলে স্বৈরতন্ত্রের কবর রচনা করে গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির কো- চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, এভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, সাবেক এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা,নাসরিন জাহান রত্না,লিয়াকত হোসেন খোকা, এটিইউ তাজ রহমান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আকতার, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফুর রহমান খান, মাসরুর মাওলা, চেয়ারম্যান উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান,ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এস এম আল জুবায়ের,যুগ্ম সম্পদক শরফুদ্দিন আহমেদ শিপু, মাসুক রহমান, শাহনাজ পারভীন, মাসুম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন – সাবেক সংসদ নূরুল ইসলাম মিলন,চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নাজনিন সলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান আমানত হোসেন আমানত,সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তোতা, যুগ্ম সম্পাদক, মাসুক রহমান,কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান,তাসলিমা আকবর রুনা, জিয়া উর রহমান বিপুল, মিজানুর রহমান দুলাল, এডভোকেট বায়জিদ সহ বিভিন্ন স্থরের নেতৃবৃন্দ।