English

25 C
Dhaka
সোমবার, নভেম্বর ১০, ২০২৫
- Advertisement -

আল্লামা ইকবালের জন্ম বার্ষিকীতে ‘ইকবাল ও গণতন্ত্র‘ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

- Advertisements -

১৯৪৭ এর দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা ছিলেন আল্লামা ইকবাল। ৪৭ এ যদি পাকিস্তান না হতো, তাহলে হাজারটা বঙ্গবন্ধু মিলেও বাংলাদেশ স্বাধীন করতে পারতো না। যার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ আজকের কাশ্মীর। আল্লামা ইকবাল ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের একজন মুসলিম কবি, দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং ব্যারিস্টার। তাঁর ফার্সি ও উর্দু কবিতাকে আধুনিক যুগের ফার্সি ও উর্দু সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বিংশ শতাব্দীতে মুসলিম উম্মাহর দিকপাল দার্শনিক কবি হিসেবে স্বীকৃত। তিনি নিজের ধর্মীয় ও ইসলামী রাজনৈতিক দর্শনের জন্যও মুসলিম বিশ্বে বিশেষভাবে সমাদৃত।

এ মহান কবির ১৪৮তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আল্লামা ইকবাল সংসদের উদ্যোগে আজ রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে “ইকবাল ও গণতন্ত্র” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী শাহ্ আবদুল হালিম এর সভাপতিত্বে এ সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক ও কবি নাসির হেলাল। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি ও ধর্ম শক্তি পরস্পর একে অপরের সংরক্ষক, বিশ্বাসীর জন্য এ দুটি মেরুকেন্দ্র রেখা স্বরূপ, একটি অপরটি সহায়ক। দেহ যেমন প্রাণ ছাড়া চলতে পারে না, তদ্রূপ ধর্ম ছাড়া গণতন্ত্র প্রাণহীন বা নিষ্প্রাণ, মূল্যহীন। বিশ্বখ্যাত কবি, দার্শনিক, ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞ, রাজনীতিক আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল ( ১৮৮০- ১৯৩৮) নানা ত্রুটি বিচ্যুতি থাকা সত্ত্বেও তন্ত্র-মন্ত্রের মধ্যে গণতন্ত্রকেই মুক্তির বা শান্তির পথ হিসাবে বিবেচনা করতেন। তবে তা অবশ্যই ইসলামের আলোকে আলোকিত গণতন্ত্র। প্রথম জীবনে অর্থাৎ ইউরোপ গমনের আগে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তখন তিনি ভৌগোলিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মনে করতেন উপমহাদেশের হিন্দু মুসলমান এক জাতি। তাই তিনি সে সময়ে হিন্দু মুসলমানের ঐক্যও কামনা করতেন কিন্তু ১৯০৮ সালে ইউরোপ থেকে ফিরে তিনি মুসলিম জাতীয়তাবাদের স্লোগান তোলেন এবং তা বাস্তবায়নে সার্বিকভাবে সচেষ্ঠ হন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিটায়ার্ড আর্মি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) এর প্রেসিডেন্ট কর্ণেল আব্দুল হক বলেন, কাশ্মীর আজকে ৮০ বছর প্রায় হয়ে গেল, যুদ্ধ করেই যাচ্ছে কিন্তু স্বাধীনতার কোন নাগাল তারা পায়নি। অথচ তাদের পাশে আছে পাকিস্তান ও চীনের সীমান্ত, তারাও সহযোগিতা করছে। কিন্তু আমাদের পাশে কোনরকম বন্ধু সুলভ কেউ নাই। ভারতীয় আধিপত্যবাদের হাত থেকে বাঁচার আমাদের কোনো উপায় ছিল না, যদি ৪৭ না হতো।এ সত্য কথাগুলো আমাদের বলতে হবে, বলার সময় এসেছে।

সেমিনারে পাকিস্তানের জিও টিভির সাংবাদিক সীমা সিদ্দিকী, করাচীর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. বেনসন সিদ্দিকাসহ দেশ বরেণ্য চিন্তকবৃন্দ বলেন, ইকবাল ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান ছাড়াও আন্তর্জাতিক সাহিত্যের বিশিষ্ট কবি হিসাবে প্রশংসিত। যদিও তিনি বিশিষ্ট কবি হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত, তিনি ‘আধুনিক সময়ের মুসলিম দার্শনিক চিন্তাবিদ’ হিসেবেও অত্যন্ত প্রশংসিত। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ আসরার-ই-খুদী ১৯১৫ সালে পারস্য ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতার গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে রুমুজ-ই-বেখুদী, পয়গাম-ই-মাশরিক এবং জুবুর-ই-আজাম। ইকবালের দর্শন দিয়ে মুসলিম বিশ্ব যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকেও এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নাম ছিল ইকবাল হল কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সে হলের নামটি পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। অথচ আল্লামা ইকবালের মৃত্যু হয়েছে ১৯৩৮ সালে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/hr4k
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন