বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশের গোটা পুলিশ বাহিনী মধ্যে ৫ শতাংশ হয়তো খারাপ, বাকি ৯৫ শতাংশ ভালো।কিন্তু এই সরকার গোটা পুলিশকে এমন করেছে যে, দেশের সাধারণ জনগণ পুলিশকে ভালো চোখে দেখে না। পুলিশ তো চাকরি করে। তারা না থাকলে এই সমাজ ভালো থাকবে না। কিন্তু যেভাবেই হোক, এই সরকার পুলিশকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে দুদু বলেন, একটি কথা দিবালোকের মতো সত্য যে, ডিসেম্বর-জানুয়ারির আগেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ভবিষ্যতে যারা মানবিক মানুষ, গণতন্ত্রের মানুষ, স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ তারাই সরকার গঠন করবে। এটিই সত্যি।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের নেত্রী, দেশনেত্রী তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে, সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। স্পষ্ট করে বলি, তার যদি কিছু হয় তাহলে এটিকে দেশবাসী হত্যাকাণ্ড বলে গ্রহণ করবে। এটি সরকারের মাথায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এই হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হবে। বর্তমান সরকার প্রধান এবং যারা দায়িত্বে আছেন, তারা যদি এটা মনে রাখেন তাহলে তাদেরও ভালো হবে, দেশেরও ভালো হবে, আমাদেরও ভালো হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একবার বলল, সবার সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। তারপরে বলল, কেউ এলে আসুক, না এলে নাই। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন আপনারা করতে চান। ভেবে-চিন্তে করবেন। পাকিস্তানিরা বাঙালিদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। ৭০ সালের নির্বাচনে তারা ভেবেছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা না দিলে কী হবে, পাকিস্তান কিন্তু থাকেনি। এই সরকারের যারা নিয়ন্ত্রণকারী, তারা যদি মনে করে কিচ্ছু হবে না তাহলে তারা ভুল চিন্তায় আছে।
বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম প্রমুখ।