জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদে এমপি বলেছেন, তিন জোটের রুপরেখা অনুযায়ী পল্লীবন্ধু ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে দেশে সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি স্তম্ভের মধ্যে সরকার প্রধানের হাতে নির্বাহী বিভাগ ও আইন সভা আর রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বিচার বিভাগের নিরানব্বই ভাগই সরকার প্রধানের হাতে। তাই সরকার প্রধান যা চান, তাই হচ্ছে- এটাকে গণতন্ত্র বলা চলেনা। দুর্নীতি ও দলীয় করণের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র এখন স্বৈরতন্ত্রের পর্যায়ে। সংবিধানকে যেভাবে সংশোধন করা হয়েছে তাতে গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়, সাংবিধানিক ভাবে যেভাবে দেশ চলছে তাকে কোনভাবেই গণতন্ত্র বলা চলেনা। সরাকারী দল না করলে এখন আর কেউ চাকরী পায়না, ব্যবসা করতে পারেনা। সরকার দলীয়দের জন্য এক ধরনের আইন আর অন্যদের জন্য আলাদা আইন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি স্পষ্ট বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। অথচ এই বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো। স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানীরা বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো, এখন বৈষম্য সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
আজ বিকেলে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ এর বাসভবনে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। দেশের মানুষের অধিকার হরণ করে দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে। ৯১ সালের পর থেকে দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সুশাসন নির্বাসনে দিয়েছে। দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কবর দিয়েছে। সকল স্তরে দলীয়করণের মাধ্যমে লুটপাটের মাধ্যেমে টাকার পাহাড় গড়েছে দুটি দলের নেতা-কর্মীরা।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসময় আরো বলেন, দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে চায়না। কারণ, তারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে দুঃশাসন সৃষ্টি করেছে, আমরা দেশের মানুষের জন্য প্রকৃত গণতন্ত্র উপহার দেবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এডভোকেট সালমা এমপি, সাবেক মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ্, উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব রাহগীর আল মাহি এরশাদ (সাদ এরশাদ)।