বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের লাশ দেশে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ লাশ।
বিমানবন্দরে তার কফিন গ্রহণ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জয়নাল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুল লতিফ জনি, নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানবন্দর থেকে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মরহুমের লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দেশে মরহুমের প্রথম জানাযার নামাজ হবে সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে, দ্বিতীয় জানাযা সকাল ১১টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে দলের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। বেলা আড়াইটায় নোয়াখালীর কবিরহাট ডিগ্রি কলেজ মাঠে মরহুমের তৃতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৪টায় বসুরহাট কোম্পানীগঞ্জ সরকারি মুজিব মহাবিদ্যালয় মাঠে হবে চতুর্থ নামাজে জানাযা। বিকাল সাড়ে ৫টায় মরহুমের নিজ বাসভবনের (মানিকপুর কোম্পানিগঞ্জ) সামনে মরহুমের সর্বশেষ নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে, বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তার। ৮১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৯৪০ সালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের জন্ম।